ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

না'গঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের বাধা, আটক ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
না'গঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের বাধা, আটক ১ না'গঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের বাধা, আটক ১। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধার পর ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ একজনকে আটক করে এবং নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দেয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের গলিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় কর্মসূচির শেষের দিকে মহানগর বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার চৌধুরী ইমানকে আটক করে সদর থানা পুলিশ।

এর আগে বিকেলে প্রথমে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের উদ্দেশ্যে প্রেসক্লাবের গলিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বাধীন একটি মিছিল। পুলিশ দু'টি মিছিলকে দু'দিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সমাবেশের ব্যানার কেড়ে নেয়।

সবার শেষে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের নেতৃত্বে নারীদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আরেকটি মিছিল সমাবেশস্থলে আসতে চেষ্টা করে। সেসময় বাধা পেয়ে প্রেসক্লাবের সামনে বক্তব্য শুরু করেন কামাল। এসময় সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে সেখান থেকে ইমানকে আটক করে।

মামুন মাহমুদ বলেন, হাজারো কোটি মানুষের দাবি নিয়ে আমরা জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আজকে রাস্তায় নেমেছিলাম। এটি সরকার পতনের কোনো কর্মসূচি নয়। আজ দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে। জনদাবির কর্মসূচি নিয়ে আড়ৎদার, মজুতদার, কালোবাজারিদের হাত থেকে মুক্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি তুলতে এসেছিলাম কিন্তু সরকারের পেটোয়া বাহিনী সেটিও আমাদের করতে দেয়নি। আমরা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জনগণের দল হিসেবে জনদাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে থাকবো।

এটিএম কামাল বলেন, আমি আমার সাংগঠনিক অধিকার নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রতিবাদে কিছু কথা বলতে। সেখান থেকে পুলিশ আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের এক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে। আমরা দ্রুত তার মুক্তি দাবি করছি।

আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, কথা বলার অধিকার নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে প্রতিবাদ জানাতে এসেও গ্রেফতার হতে হয়, পুলিশের ধাওয়া খেতে হয়। পুলিশ দিয়ে এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাই বলেন, জননিরাপত্তা বিঘ্ন করার প্রস্তুতির সময় আমরা একজনকে আটক করেছি। জনসাধারণের চলাচলের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করে সমাবেশের চেষ্টা করায় তাদেরকে আমরা সরিয়ে দিয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরপি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।