ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে খুলনায় বিএনপির সমাবেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে খুলনায় বিএনপির সমাবেশ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে খুলনায় বিএনপির সমাবেশ। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: পেঁয়াজ ও চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবনীয় দাম বাড়ার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী খুলনায় সমাবেশ করেছে বিএনপি।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

‘পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর চিন্তার কারণ নেই’- প্রধানমন্ত্রীর এ কথার তীব্র সমালোচনা করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, এরপর তিনি নিজেই বিমানে উঠে দুবাই পৌঁছে গেছেন। কিন্তু পেঁয়াজ আজও দেশে পৌঁছেনি বলে বাজারে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তারা বলেন, সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পেঁয়াজ সিন্ডিকেট বাজার থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। সিন্ডিকেটে বিএনপি-জামায়াতের কেউ নেই, সব শাসক দলের লুটেরা। এখন তাদের নজর পড়েছে চালের বাজারে। প্রতিদিনই চালের দাম বাড়ছে। সব ধরনের শাক-সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। মধ্যসত্বভোগী আওয়ামী সিন্ডিকেট সব কিছু লুটে নিচ্ছে। অথচ ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ গরিব কৃষক ধান- পাটের ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আলু-টমেটো-সবজি রাস্তায় ঢেলে গাড়ির চাকার তলে পিষে প্রতিবাদ জানায়।

বক্তারা বলেন, মানুষ আনন্দে হাসে। আবার প্রচন্ড কষ্টেও হতোদ্যম হয়ে মানুষ হাসে। জনরায়হীন সরকারের মন্ত্রীদের কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় তাদের বয়ান শুনে মানুষ লজ্জায় ঘৃণায় হতাশায় ক্ষোভে হাসছেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, গণভবনে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন, আপাতত পেঁয়াজের দাম কমানো সম্ভব না। ওই দিন বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল একশ’ টাকা। মন্ত্রীর বয়ানের পর এক লাফে তা দুইশ’ টাকায় পৌঁছে গেল। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি পেঁয়াজ ছাড়া ২২ পদের খাবার রান্না করতে পারেন। তাদের উচিত সংসদ ছেড়ে বাবুর্চির চাকরি নেওয়া।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ক্ষত-বিক্ষত দক্ষিণ জনপদে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে আতশবাজি ফুটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাইয়ের নামে টেনিস টুর্নামেন্ট আয়োজনের কঠোর সমালোচনা করেন বক্তারা। যেসময় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সব সরকারি আমলাদের ছুটি বাতিল করে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া জনপদে ছুটে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেসময় খুলনার আকাশে আতশবাজির বিস্ফোরণ দুর্গত মানুষের সঙ্গে প্রহসনের শামিল।

বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আশরাফুল আলম নান্নু, মেজবাউল আলম, সৈয়দা রেহানা ঈসা, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, মুজিবর রহমান ও শরিফুল ইসলাম বাবু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।