ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদার মুক্তির দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের বিক্ষোভ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
খালেদার মুক্তির দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের বিক্ষোভ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দল।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। সারা শরীর ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। হাত-পা নাড়াতে পারছেন না। তাকে কোনো প্রকার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। গত ৮ দিন তার কাছে কোনো চিকিৎসক যাননি। জরুরি ভিত্তিতে তার উন্নত চিকিৎসা না দিলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাকে হত্যা করতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের কারণে কেজি দেড় শতকের পর ডাবল সেঞ্চুরি পেরিয়ে গেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) যোগ হয়েছে আরও ৪০ টাকা। ২৪০ টাকা ছাড়িয়েও থামেনি দাম। দাম আর কতো বাড়বে এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না। বরং সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী যেদিন বললেন বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে, তার পর দিনই এক লাফে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে যায় কেজিতে। মন্ত্রীর বক্তব্যের পর পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে গেছে। তাদের বক্তব্য সিন্ডিকেটকে উস্কে দিচ্ছে।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ পেঁয়াজ দেশে আছে, তা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। তাহলে এভাবে লাগামহীনভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন? রাজধানীর খুচরা বাজারে, পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজি ২৪০ টাকা ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের জনগণ মনে করে, পেঁয়াজ নিয়ে যে সিন্ডিকেট, লুটতরাজ করছে তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি সরাসরি জড়িত। এ কারণে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে। অবিলম্বে আমরা ব্যর্থ মন্ত্রীদের পাশাপাশি সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।
 
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের সভাপতি শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম পটু, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক এম ইউসুফ আলী, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও উত্তরের সভাপতি মো. ওবায়দুর রহমান অটলসহ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের নেতাকর্মীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।