ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘গণতন্ত্র ও ছাত্র রাজনীতি না থাকলে ক্ষমতাও থাকবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
‘গণতন্ত্র ও ছাত্র রাজনীতি না থাকলে ক্ষমতাও থাকবে না’

ঢাকা: দেশে গণতন্ত্র ও ছাত্র রাজনীতি না থাকলে ক্ষমতাও থাকবে না বলে মন্তব্য করছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞানী সমিতি আয়োজিত ‘ছাত্র রাজনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক বলেন, দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।

গণতন্ত্রের দাবিতে রাজনীতি করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি রাখতে হবে। বড় লোকের ছেলেরা কখনো ছাত্র রাজনীতি করে না। যারা রাজনীতি করে তারা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এই অধিকার রাখতে হবে।

আ স ম রব বলেন, অপরাজনীতির কারণে (বুয়েট শিক্ষার্থী) আবরার ফাহাদের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীদের মরতে হয়। এমন রাজনীতি চলবে না। সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. শাহিদা রফিক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, শফিউল বারী বাবু, ডাকসুর বর্তমান ভিপি নুরুল হক নুর, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি ও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, সায়মা বেগম, রুনা রােকসানা খান, সালমা হাসান, নাফিসা লাইলা প্রমুখ।

‘ছাত্র রাজনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় ১৫টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হলো- ১. ছাত্র রাজনীতির গঠনমূলক পরিবর্তন আনয়ন জরুরি; ২. মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে; ৩. শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, সুকুমারবৃত্তি ও সুস্থ্য ধারার রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতির বিকাশ ঘটাতে হবে; ৪. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ছাত্র সমাজের সুপরামর্শ গ্রহণ ও সার্বজনীন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; ৫. ছাত্র রাজনীতি শৈল্পিক ও বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে এবং এতে অনুমোদিত মূল্যবোধের উন্মেষ থাকতে হবে; ৬. ছাত্র রাজনীতিকে দলীয় সংকীর্ণ স্বার্থের উর্ধ্বে রাখতে হবে; ৭. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকতে হবে; ৮. ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনৈতিক সচেতনতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে; ৯. বিজ্ঞান, প্রযুক্তি শিল্পনীতি প্রণয়নে এবং বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে; ১০. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা এবং ছাত্র রাজনীতির সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে; ১১. ছাত্র সংগঠনের হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ সব অপকর্ম বন্ধ করতে হবে; ১২. বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সেবামূলক ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাকে আরাও শানিত করতে হবে; ১৩. দেশের তিন কোটি বিশ লাখ তরুণ মেধাবী শক্তিকে অবশ্যই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যেন দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে; ১৪. ছাত্রদের রাজনীতিতে প্রবেশের সুযােগ দিয়ে নেতৃত্বগুণ অর্জনের সুযােগ করে দিতে হবে এবং ১৫. ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নয়, বন্ধ হােক রাজনীতি নামে সব প্রকার অপকর্ম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
পিএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।