ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

শহীদ নূরের বিরুদ্ধে কুৎসা, রাঙ্গার প্রতি রিজভীর ধিক্কার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
শহীদ নূরের বিরুদ্ধে কুৎসা, রাঙ্গার প্রতি রিজভীর ধিক্কার

ঢাকা: এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন নিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা অশ্রাব্য মন্তব্য করেছেন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার প্রতি তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি রাঙ্গার ওপর নিন্দা প্রকাশ করেন।

মিছিলটি বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে শুরু হয়।

নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, আমি শহীদ নূর হোসেন সম্পর্কে রাঙ্গার অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহারের তীব্র ধিক্কার জানাই। প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারের কুৎসিত আত্মা দিয়ে জাতীয় পার্টির সৃষ্টি বলেই রাঙ্গাদের মতো রাজনৈতিক ‘ভবঘুরেরা’ গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী নূর হোসেনের মতো শহীদদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য কথা বলতে পারেন। এরা লুটপাটের আদর্শে উদ্বুদ্ধ ও গণতন্ত্রের শত্রু বলেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে পারেন। সেজন্য তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী আরেকটি শক্তি বর্তমান হানাদার শাসকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণতন্ত্র এবং সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন। এই দুই স্বৈরাচার এখনও গণতান্ত্রিক প্রথা-প্রতিষ্ঠান নিশ্চিহ্ন করার জন্য গুম ও খুনের মাধ্যমে বিভীষিকা তৈরি করে রেখেছে। অথচ শহীদ নূর হোসেন আওয়ামী লীগেরই কর্মী ছিলেন। কিন্তু দলটি নির্লজ্জভাবে ৯০ এর পরাজিত স্বৈরাচারের পথকলিদের সঙ্গে জোট হয়ে নূর হোসেনদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে গণতন্ত্রকে দেশের মাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে।

রিজভী বলেন, হেনস্তা ও অপমানের ভয়ে নাগরিক সমাজ এখন স্বাধীন মত প্রকাশের সাহস হারিয়ে ফেলেছে। এই দুঃসহ অবস্থার মধ্যেও অবৈধ সরকারের পক্ষে একদল উচ্ছিষ্টভোগীর গুণকীর্তন থেমে নেই। এতে মানুষ অতিষ্ঠ। এছাড়া দলীয়করণ, ভীতিপ্রদর্শন ও নানা অপকৌশলের মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আজ প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। সারাদেশে প্রকাশ্যে সন্ত্রাস করছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না। তাদের কোনো বিচার হয় না।

তিনি আরও বলেন, মিডনাইট নির্বাচনের অবৈধ সরকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণভাবে গায়ের জোরে বন্দি করে রেখেছে। এই বন্দি করার মধ্য দিয়ে তারা শুধু দেশের একজন জনপ্রিয় নেত্রীকেই বন্দি করে রাখেনি; তারা গোটা দেশ, গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও শ্বাসরুদ্ধকর বন্দিশালায় আটকে রেখেছে।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, ছাত্রদল নেতা কাউসারসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।