ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন-মিলন হত্যার বিচার হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
ক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন-মিলন হত্যার বিচার হবে

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নূর হোসেন ও ডাক্তার মিলনকে কারা হত্যা করেছেন, কেন হত্যা করেছেন তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। 

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে জাপা মহানগর উত্তরের আয়োজনে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, নূর হোসেন ও ডাক্তার মিলন হত্যার ইস্যু তুলে দেশের মানুষকে বারবার বিভ্রান্ত করা হয়।

আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অপবাদ দেওয়া হয়। এর একটা সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে।  

তিনি আরও বলেন, জাপা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন ও ডাক্তার মিলনসহ ষড়যন্ত্রমূলক সব হত্যার বিচার করা হবে।

জাপা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে সভায় জিএম কাদের বলেন, এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সামরিক শাসন তুলে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার পর থেকেই কাঠামোগত গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। তবে, গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাহত হয়েছে বারবার। এখন প্রতিদিনই দুর্নীতি, গুম, খুন ও সন্ত্রাস অব্যাহতভাবেই বেড়ে চলেছে।  

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে, দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে সবকিছু। এখন চলছে দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন।  

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা থাকলে দেশে ৫ কোটির বেশি বেকার থাকতে পারে না।  

তিনি আরও বলেন, আমরা ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা চালু করবো। আমাদের নেতা এরশাদ সারাজীবন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে কাজ করেছেন। গণতন্ত্রের পথে অবিচল ছিলেন তিনি।

গণতন্ত্র দিবসে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুগ্ম মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ কে এম আশরাফুজ্জামান খান।  

সভায় উপস্থিত ছিলেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান আমানত হোসেন আমানত, মোস্তাকুর রহমান, হেনা খান পন্নি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইসহাক ভূঁইয়া, নাসির উদ্দিন সরকার, সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, ডা. সেলিমা খান, কাজী আবুল খায়ের, হুমায়ন খান, আহাদ চৌধুরী শাহীন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সাত্তার, এম এন সেলিম, তাসলিমা আকবর রুনা, এস এম হাশেম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, রিয়াজ আহমেদ, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, নজরুল ইসলাম সরকার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এসএমএকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।