ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

যুবদলের চেইন অব কমান্ড নেই: মির্জা আব্বাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
যুবদলের চেইন অব কমান্ড নেই: মির্জা আব্বাস

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমি যখন যুবদলের সভাপতি ছিলাম, তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনার পরে কে যুবদলের নেতৃত্বে আসবে। আমি মুহূর্তের মধ্যে উত্তর দিলাম আমার পরে গয়েশ্বর রায়, বুলু, আলাল আছে। আমার কিন্তু উত্তর দিতে মোটেও সময় লাগেনি। 

‘আমি আজকে প্রশ্ন করতে চাই, যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি এখানে বসে আছেন। যদি জানতে চাই আপনাদের পরে কে প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি হবে? তৈরি করেছেন কি? তৈরি করতে পারেন নাই।

আমি জানি আপনারা সেভাবে তৈরি করতে পারেন নাই। কারণ সেভাবে চেষ্টা করেননি। আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ধাপ তৈরি করেছিলাম। আজকে যুবদলের সেই চেইন অব কমান্ড একেবারেই ভেঙে পড়েছে। ’

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যুবদল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন ।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমার কষ্ট লাগে-দুঃখ হয়। কী যুবদল রেখে এসেছিলাম। যুবদল থেকে ৪৫ জন এমপি হয়েছিল। লিস্ট আমরা করে দিয়েছিলাম। আপনারা কয়জনকে নমিনেশন দিতে পারবেন? আমার কথা শুনে মনে হচ্ছে যুবদল একদম ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেছে। আমি কিন্তু তা বলিনি। আমি বলছি, যুবদল এখনও আছে, আগামীতেও থাকবে এবং সর্বোচ্চ নেতৃত্বে থাকবে। যদি আপনারা ধরে রাখতে পারেন।

তিনি বলেন, যখন বিএনপির দুর্যোগ ছিল, তখন সবার আগে যুবদলকে ডাকা হতো। আজকে একজনের সঙ্গে অন্যের সম্পর্ক ভালো আছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা সবাই আছি নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আমার লোক কে, আমার লোক কে, আমার লোক কে? এটা যুবদল, ছাত্রদলের দোষ নয়। এটা আমার দোষ, আমরা এখানে যারা নেতারা আছি, আমাদের দোষ। আমরা যারা আছি উচ্চপর্যায়ের নেতারা সবাই আমার এবং তোমার। কে কার বাছাই করি। কেন?

ছাত্রদলের সম্প্রতি যে সম্মেলন গেল সেখানেও নেতারা হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছে দাবি করে তিনি বলেন, একটা সুন্দর-সুষ্ঠু সম্মেলন হয়েছে। সেখানে কি আমরা কাজ করিনি? সেখানেও আমরা হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যেটা ঠিক হয়নি।

তিনি বলেন, আজকে দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমরা অন্যের দিকে তাকিয়ে আছি। আপস করার চেষ্টা করি। কেন? আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে একসময় স্বৈরাচার এরশাদকে সরিয়েছি, হাসিনাকে সরিয়েছি। কেন আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবো না? আমাদের প্রত্যেককে যার অবস্থান থেকে নিজেকে শক্তিশালী করতে হবে, দলকে শক্তিশালী করতে হবে। তবেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।  

যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।