ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

বিএনপিতে মীরজাফর নেই, জাফর থাকতে পারে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
বিএনপিতে মীরজাফর নেই, জাফর থাকতে পারে: গয়েশ্বর

ঢাকা: বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘যারা আন্দোলন করতে পারবেন না সংগঠনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, তারা আল্লাহর ওয়াস্তে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। কিন্তু আপসহীন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্যারোলের কথা বলবেন না। প্যারোলের কথা বলে তাকে অসম্মান করা হয়। তিনি আপসহীন নেত্রী। তিনি মরে গেলেও প্যারোলে কারো দয়া নিয়ে মুক্তি নেবেন না। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করা হবে।’

জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে যুবদল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য আমরা এখন পর্যন্ত যৌক্তিক আন্দোলন করতে পারিনি।

কেন পারিনি তা আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের দলের ভেতরে আন্তরিকতার অভাব আছে কি-না তা খুঁজতে বের করতে হবে। বিএনপিতে মীর জাফর নেই, তবে জাফর থাকতে পারে যারা গোপনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে যে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে যাওয়ার জন্য রাজি করাবেন। কারা এ ব্যক্তি ধরা খেলে তাদের রক্ষা হবে না।

ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে যুবদলের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের সময় দেখেছি, ওই জোটের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি প্রাধান্য পায়নি পেয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ। তাদের কাছে নির্বাচন বড় ছিল। এখন আমরা দেখছি, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করার জন্য প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে একটা অংশ উঠেপড়ে লেগেছে।

বক্তব্যের শুরুতেই স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ২৪ বছর যুবদল করেছি কিন্তু প্রায় এক যুগ পরে এখানে এসে আমার মনে হলো আমি যুবদল করতাম। কারণ এ এক যুগের মধ্যে পাশে থাকার সহযোগিতা করার প্রয়োজন হয়নি। আজকে একজন জেলখানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি জেলখানায় বসে অপেক্ষা করছেন আমার যুবদল কখন মাঠে নামবে।

যুবদলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা সংখ্যায় অনেক, কিন্তু সফল হচ্ছি না কেনো? এটা যুবদলকে খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সময় কমিটি ছিলো ১১১ জনের। পদ ছিলো মাত্র ৩৬টা। এখন তিন চারশো। এজন্য বলছি পদ কখনও নেতা তৈরি করে না।

যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।