ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

পাবনায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বহিষ্কার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
পাবনায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বহিষ্কার

পাবনা: পাবনা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির সোহেল মিলনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশের তথ্য জানানো হয়।

আমির সোহেল মিলন সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সির ছেলে।

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত রোববার রাতে সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম কমিটি করার সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলা চালায় মিলনসহ তার বাহিনী। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ সুইটসহ কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হন। বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জেলা ছাত্রলীগের কাছে থেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। পরে তদন্ত সাপেক্ষে আমির সোহেল মিলন ও তার বাহিনীর সব অপকর্মের সত্যতা মিললে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিন্টু বাংলানিউজকে জানান, আমির সোহেল মিলন ও তার বাবা আব্দুল কুদ্দুস মুন্সির অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। চেয়ারম্যান ও তার ছেলে মিলন মিলে এলাকায় সুদের কারবার, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, সালিশি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্ম করতেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে ধরে নিয়ে মিলন বাহিনীর নিজস্ব টর্চার সেলে নিয়ে মারধর করা হতো। মিলন বাহিনীর অত্যাচারে ইতোমধ্যেই সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন থেকে অন্তত ১৫০ পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেছন। বিষয়টি নিয়ে দলের উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দকে অবগত করার পরেও তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পরেনি জেলা নেতৃবৃন্দ। মিলন বহিষ্কারের পর এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে মিষ্টি খেয়ে আনন্দ উল্লাস করেছেন।
 
সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইচ উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ মঙ্গলবার রাতে একটি তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করেন। শুধুমাত্র মিলন ও তার পরিবারের অপকর্মের জন্যই উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সিদ্ধান্ত নেয়।

পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক টিপু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে মিলন ও তার বাবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।