ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অন্যান্য দল

‘অনিয়ম-বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে যাবে ওয়ার্কার্স পার্টি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
‘অনিয়ম-বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে যাবে ওয়ার্কার্স পার্টি’ সমাবেশে ফজলে হোসেন বাদশা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, সংবিধানে লেখা আছে বাংলাদেশের মালিক জনগণ। কিন্তু এখন দুর্নীতিবাজেরাই দেশের মালিক হয়ে গেছে! ক্ষমতার মালিক দুর্নীতিবাজরা। তারা যা চান, তাই হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কালোটাকার মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান আমরা রাজশাহীতেও দেখতে চাই। আমরা ওয়ার্কার্স পার্টি দুর্নীতি, অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবো।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে পার্টির এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার আগে ২২টি পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যারা এখানকার টাকা পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিত।

তাদেরকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপর ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্জিত হলো। কিন্তু অর্থপাচার থামেনি। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যে পরিমাণ টাকার বাজেট হয় সেই পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। যারা এখনো দেশের টাকা পাচার করে তারা নব্য রাজাকার। এসব নব্য রাজাকারদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

‘গণমাধ্যম যখন সত্য প্রকাশ করে তখন সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়। দুর্নীতিবাজদের নাম প্রকাশ করলে হুমকি দেওয়া হয়। কিছু দিন আগে রাজশাহীতে কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা চাই। লুটেরাদের গ্রেফতার দেখতে চাই। প্রশাসনকে লুটেরাদের দিকে নজর দিতে হবে। সমাজে যারা অস্থিরতা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ’

জনসমাবেশে রাজশাহীর শিল্পায়ন নিয়েও কথা বলেন সংসদ সদস্য বাদশা। তিনি বলেন, উত্তরের মানুষ দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমরা আম দিয়েছি, ধান দিয়েছি, মাছ দিয়েছি। কিন্তু উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছি। এসব নিয়ে কেউ কথা বলে না। আমি বার বার পার্লামেন্টে কথা বলেছি। রাজশাহীতে যেন শিল্পায়ন ঘটে তার জন্য পণ্য পরিবহনে যমুনা নদীতে আলাদা রেলসেতু নির্মাণের জন্য কথা বলেছি। আজকে সুখবর দিতে চাই, যমুনা নদীতে রেলসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এখন শিল্পায়ন ঘটবে।

তবে তা পরিবেশবান্ধব হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পরিবেশ এখন নির্মল। শিল্পায়নের পর যেন তা বিষিয়ে না ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা শিল্পায়ন চাই। তবে তা পদ্মা নদীকে দূষিত করে নয়। জলবায়ু পরিবর্তন হবে না এমন শিল্পায়ন চাই। পরিবেশবান্ধব, জনবান্ধব শিল্পায়ন ঘটাতে হবে।

সমাবেশের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। আর দলীয় পতাকা তোলেন সমাবেশের বিশেষ অতিথি পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমেদ বকুল।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবুর পরিচালানয় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নারী মুক্তি সংসদের রাজশাহী জেলা সভাপতি অধ্যাপক তসলিমা খাতুন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সাব্বা আলী খান কলিন্স, জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, এন্তাজুল হক বাবু, সাদরুল ইসলাম, আবু সাঈদ, ফেরদৌস জামিল টুটুল, শাহ মখদুম থানা সভাপতি মিজানুর রহমান টুকু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এসএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।