ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বন্ধ সিনেমা হল চালু করলে সহজ শর্তে ঋণ: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৯
বন্ধ সিনেমা হল চালু করলে সহজ শর্তে ঋণ: তথ্যমন্ত্রী বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বন্ধ সিনেমা হল ফের চালু করতে হল মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি জানিয়েছেন, যে সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো যদি কেউ চালু করতে চায়- তাকে দীর্ঘমেয়াদে এবং সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলাপ চলছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যেই একটি সমাধান আসবে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রামের প্রথম সিনেপ্লেক্স সিলভার স্ক্রিনে আয়োজিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এবং বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের আয় বেড়েছে। রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। তবে সেই রুচির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের সিনেমা হলগুলো উন্নত হয়নি। আমরা যে সিনেমাগুলো মুক্তি দিই, সেগুলো দেখার জন্যে শহরের সিনেপ্লেক্সে ভিড় হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ দেখতে পারছে না। কারণ গ্রামের হলগুলোতে তারা কমফোর্ট পায় না।

‘ফলে সিনেমা হলগুলোর আয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হল মালিক ভাবছেন- হল পরিচালনার চেয়ে মার্কেট কিংবা গুদাম করে দিলে বেশি লাভ আসবে। এভাবেই সিনেমা হলগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে যারা সিনেমায় পুঁজি বিনিয়োগ করছেন তারা আর পুঁজি উঠাতে পারছেন না। ’

মন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারিভাবে সারাদেশে কিছু তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করবো। এর সঙ্গে ৩০০ আসনের একটি সিনেমা হল থাকবে। হলটি সরকার নিজে পরিচালনা করবে না। ইজারা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সিনেমা হলের সংকট কিছুটা কমবে।

‘প্রাথমিকভাবে ২০-৩০টি তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করবো। পরে প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। জমি পেলে বড় জেলাগুলোতে দুটি তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ’

সেমিনারে অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজ

ছবি বানাতে সরকারি অনুদান বাড়ছে

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর অনুদানের ছবি নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। যেটি দেখলাম, অনুদানের ছবির বেশিরভাগ হচ্ছে ‘আর্ট ফিল্ম’। এখানে ‘কমার্শিয়াল মুভির’ জন্য অনুদান দেওয়া হয় না।

‘আবার যারা সরকারি অনুদান নিয়ে ছবি বানান- তাদের অনেকেই ছবিটি হলে দেন না। কোনো একটি চ্যানেলের কাছে কিংবা অন্য কারও কাছে বাইরে বিক্রি করে দেন। কারণ সেখানে তার নিজের বিনিয়োগ খুব কম। ’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, এখন থেকে আর্ট ফিল্মের সঙ্গে কমার্শিয়াল মুভিতেও আমরা অনুদান দেবো। তবে আমরা একটা পার্সেন্টিজ ঠিক করে দেবো। কত পার্সেন্ট আর্ট ফিল্মের জন্য, কত পার্সেন্ট কর্মাশিয়াল মুভির জন্য অনুদান- সেটি ঠিক করে দেবো। সেগুলো অবশ্যই হলে মুক্তি দিতে হবে।

‘৬০ লাখ টাকা এখন একটা ছবি বানানোর জন্য খুবই কম টাকা। স্ক্রিপ রাইটাররাই বম্বেতে ৬০ লাখ টাকার বেশি নেয়। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনুদানের অঙ্কটা বাড়ানো হবে। এখন বছরে পাঁচ কোটি টাকা দিচ্ছি। সেটি ১০ কোটি টাকায় নিয়ে যেতে চাই। একটা মুভিতে কমপক্ষে ৭৫ লাখ টাকা বা আরও বেশি দেওয়া যায় কী না- সেটা দেখবো। কারণ সবকিছুর দাম বাড়ছে। ’

কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদলের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ।

কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ওয়াশিকা আয়েশা খান, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, আরটিভির সিইও আশিক রহমান, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।