ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

শুদ্ধি অভিযানে মিডিয়ার সমর্থন চান ওবায়দুল কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৯
শুদ্ধি অভিযানে মিডিয়ার সমর্থন চান ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযানে মিডিয়ার সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, এতে আমরা আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।

আপনারা সমর্থন ও সহযোগিতা করলে এটা অব্যাহত রাখবো। দেশের জনগণ আজকে এটাকে স্বাগত জানাচ্ছে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে আয়োজিত নিউজ ব্রডকাস্টারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এনপিএ) অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আপনাদেরকে নিরঙ্কুশ আওয়ামী লীগ হিসেবে পেতে চাই না। আপনারা গঠনমূলক সমালোচনা করেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, আমাদের যে অর্জন, সেই স্বীকৃতিটা চাই। অর্জনের ওয়াইড কাভারেজ আমরা প্রত্যাশা করছি। অন্যায়, অপকর্ম, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা যে যুদ্ধ শুরু করেছেন, সেটির সমর্থন চাই।

তিনি বলেন, এখন দেশে জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওয়াল (দেয়াল) তৈরি করা। আমি ওয়াল তৈরি করি না। আমি ব্রিজ (সেতু) তৈরি করি। আমাদের দেশে আজ দলে দলে, গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে ওয়াল তৈরি হয়েছে। আমরা ওয়াল তৈরি করবো না, আমরা ব্রিজ তৈরি করবো। ব্রিজ তৈরি করা এখন জাতীয় দাবি। এটা করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি জানি মিডিয়ার ভেতরে অনেক সমস্যা। অনেকে কাজ করেন, কিন্তু বেতন পান না। এ বিষয়গুলো সিরিয়াসলি দেখা দরকার। সাংবাদিকদের এই সমস্যাগুলো আমাদের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দেখবেন। তিনি সাংবাদিকদের বক্তব্য শুনবেন এবং সমাধানের উদ্যোগ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর যদি এ বিষয়ে আলোচনা করতে হয়, তাহলে আমি সহযোগিতা করতে পারি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন থেকে এখন পর্যন্ত বেসরকারি টেলিভিশনের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে।  

‘এখন ৩৩টি টিভি সম্প্রচারে আছে, লাইসেন্স পেয়েছে আরও ৪৫টি। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারের যে অর্জন, গণমাধ্যমে সেটা তুলে ধরা হবে বলে আশা করছি। ’

অনুষ্ঠানে এনবিএ’র সভাপতি মুমতাহিনা রীতু, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ কায়সারসহ নবগঠিত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এসকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।