ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জিয়া থেকে জুয়া শুরু বলেই ক্যাসিনোতে বিএনপির ভয়: আ’লীগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
জিয়া থেকে জুয়া শুরু বলেই ক্যাসিনোতে বিএনপির ভয়: আ’লীগ আওয়ামী লীগের লোগো

ঢাকা: ‘দেশে মদ-জুয়া নিষিদ্ধ। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। কিন্তু এর সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছে বিএনপি। তারা জানে না জিয়ার আমল থেকেই যে জুয়ার শুরু। সে সময় পানের দোকানেও মদ পাওয়া যেত। তারা করছেন এর সমালোচনা। অবশ্য ভয়ও পাচ্ছে নিজেদের লোক জড়িত বলে। তবে শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে, এটা চলবে। মাদকের বিরুদ্ধে যে লড়াই, এটাতে আমাদের জিততে হবে। ক্যাসিনো, মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করে যারাই দলের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন, সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

সভাপতির বক্তব্যে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দান থেকে জুয়া বন্ধ করেছিলেন।

আর জিয়া এ দেশে জুয়া চালু করেছেন। তার সময় পান দোকানিরা পানের পাশাপাশি মদ বিক্রি করতেন। তিনি যুবদলকে টাকার পেছনে ছুটতে দেন। অস্ত্র তুলে দেন ছাত্রদলের হাতে। প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহিতা আছে পিতার আত্মার কাছে, ৩০ লাখ শহীদের কাছে। এজন্য আজ তিনি যখন সব অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছেন, তখন বিএনপি সমালোচনায় লিপ্ত।

দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গুটিকয়েক লোকের দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়েছে, এ লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। যারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস-মাদক কারবারি, তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। শুধু রাজধানী নয়, ঢাকার বাইরেও শুরু হচ্ছে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, দেশ ও দেশের মানুষের সম্মান বিশ্বের কাছে তুলে ধরছেন, ঠিক সে সময় কিছু অনুপ্রবেশকারী দলের সম্মান ক্ষুণ্ন করছেন। যারা বিএনপি ও ফ্রিডম পার্টির লোকদের বৃহৎ এ দলে এনেছেন, অনুপ্রবেশে সহায়তা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগকে সতর্ক থাকতে হবে এসব অনুপ্রবেশকারীরা যাতে দলের মান নষ্ট না করতে পারেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিশ্বের অনেক গবেষক বলেছিলেন বাংলাদেশকে বিদেশি ঋণ নির্ভর হয়ে চলতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সেসব রাষ্ট্রনায়কের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, আমরা আর বিদেশ নির্ভর কোনো জাতি না। নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু করছেন, এগিয়ে নিয়েছেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিখাতকে। আজ এ মহান ব্যক্তির জন্মদিনে আমাদের সবার উচিত তার জন্য দোয়া করা।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, রাজধানীতে ক্যাসিনো শুরু হয়েছিল বিএনপি নেতা খোকার হাত ধরে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে। আজ তাদের লোকমান ধরা পড়েছেন এ অপরাধে। অথচ আজ যখন ক্লাবগুলোতে অভিযান চলছে, তারা এর সমালোচনা করছেন। তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে যেভাবে শেখ হাসিনা সফল হয়েছেন, আজকের মাদক-ক্যাসিনোর বিরুদ্ধেও জয়ী হবে সরকার।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। বিএনপির যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরও বিচার হবে। আমরা শুধু এটাই বলবো অপরাধীদের দল নেই। তারা যে-ই হোক, তাদের বিচার হবেই।

দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের পরিচালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসির, মহিবুল চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।