ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘সরকারের সর্বাঙ্গে দুর্নীতির দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
‘সরকারের সর্বাঙ্গে দুর্নীতির দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে’ হান্নান শাহ’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা/ছবি- শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকারের সর্বাঙ্গে দুর্নীতির দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে এত টাকা, তাহলে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে কত টাকা আছে, এটি জনগণ জানতে চায়।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক নেতা আ স ম হান্নান শাহ’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আ স ম হান্নান শাহ্ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হান্নান শাহ্ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খায়রুল কবির খোকন, হান্নান শাহ’র ছেলে রিয়াজুল হান্নান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দুঃশাসন, দুর্নীতি, দখলবাজির কারণে আওয়ামী লীগের এখন সর্বাঙ্গে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, তাদের অঙ্গসংগঠন যুবলীগ-ছাত্রলীগ সব সংগঠনে এটি দেখা দিয়েছে। তাদের ছাত্রলীগের নেতারা ১৮৬ কোটি টাকা দুর্নীতি করে আয় করে এবং ঈদের বকশিস নেয় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এটি হয়েছে একমাত্র অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার কারণে। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় দখল করায় তাদের কর্মীরাও অনৈতিকভাবে কাজ করছে। তারা শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে কামিয়ে নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে কী পরিমাণ টাকা আছে এগুলো জনগণ জানতে চায়। আজকে যা দেখা গেছে এটি দুর্নীতির একটি অংশমাত্র।

শুদ্ধি অভিযান শুধু নিচের দিকে না উপরের দিকেও শুরু করুন, তা না হলে জনগণ মনে করবে এটি একটি নাটক, বলেন খন্দকার মোশাররফ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকার সবক্ষেত্রে দলীয়করণ করে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। আদালত, পুলিশ, দুদক সবস্থানে দুর্নীতি ঢুকে গেছে।

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, আদালত নির্ভর হলে চলবে না। জনগণের নেত্রীকে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে তাকে কারাগার থেকে বের করে আনতে হবে।  

তিনি আরো বলেন, শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে যদি ইমেজ তৈরি করতে চান তাহলে তালিকা প্রকাশ করুন।

আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের টোকাইদের পকেটে কত টাকা। চোররা ধরা পড়ে একেকদিন একেক নাম বলে। বড় চোররা ধরা পড়লে কার নাম বলবে?’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের কাছে সরকারের দায়বদ্ধতা নেই। তাই এদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, হান্নান শাহ যেভাবে সংগঠন শক্তিশালী করেছিলেন তার আদর্শকে নিয়েই আমাদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আলোচনা সভায় হান্নান শাহ'র ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, বাবার আদর্শকে নিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।