ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ফখরুলের গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন, আদেশ ১৩ অক্টোবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
ফখরুলের গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন, আদেশ ১৩ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী এ আবেদন করেন। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম (১৬) এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজু (১৭) নিহত হন। এ ঘটনার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এ আন্দোলন।

শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনকে রাজনীতিকরণসহ সারাদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয় ফখরুলদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আমীর খসরু ঢাকা শহরসহ সারাদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কুমিল্লার নওমী নামে এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের কর্মীদের নামানো ও ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেন।

অপরদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ছাত্রদলের লোকজন ঢুকে পড়ে। এছাড়া তাদের হুকুমে রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে এনা পরিবহনের দু’টি বাসে অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর এবং হামলা করে কর্মীদের আহত করা, মিরপুরে মারধর, হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটায় ছাত্রদলের কর্মীরা।

এসব অভিযোগে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম এইচ এম তোয়াহার আদালতে মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তেজগাঁও থানাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।

চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেন্টু মিয়া একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে দণ্ডবিধির ১৫৩ ও ১০৯ ধারায় আসামিদের অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেন তিনি।   

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।