ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

জিজ্ঞাসাবাদ করতে র‌্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হলো শামীমকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
জিজ্ঞাসাবাদ করতে র‌্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হলো শামীমকে

ঢাকা: বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-মাদক ও বড় অংকের অর্থসহ গ্রেফতার যুবলীগ নেতা পরিচয়ধারী এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে র‌্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে অভিযানে জিকে শামীমকে গ্রেফতার করার পর সন্ধ্যায় তাকে নিজেদের কার্যালয়ে নিয়ে যায় র‌্যাব।

অভিযানে শামীমের সাত জন দেহরক্ষীকে আটক এবং অস্ত্র, শর্টগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে তার অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে ১৬৫ কোটি টাকার বেশি এফডিআর চেক পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, বাকি ২৫ কোটি টাকার এফডিআর তার নামে। এছাড়া আরও এক কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের পর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে তার মায়ের ও তার নামে বিপুল পরিমাণ এফডিআর পাওয়া গেছে। তার অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিলো।  

কী ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সুনির্দিষ্টি অভিযোগ ছাড়া অভিযান পরিচালনা করে না। এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি ছাড়া পাবেন।

এফডিআরের অর্থের উৎসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কোনো অবৈধ উৎস থেকে এ অর্থ এসেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে মানিল্ডারিংয়ের আইনের মামলা করা হবে।

অভিযানে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হচ্ছেএ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সুনির্দিষ্ট ও টেন্ডারবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে আমরা তার বাসা ঘেরাও করি, সেখান থেকে তার সাত জন দেহরক্ষী আটক এবং অস্ত্র, শর্টগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে তার অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে ১৬৫ কোটি টাকার বেশি এফডিআর চেক পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, বাকি ২৫ কোটি টাকা তার নামে। উদ্ধার হওয়া এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মধ্যে নগদ অর্থ ও মার্কিন ডলার রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলে কোনো এফডিআর থাকার নিয়ম নেই, অথচ অধিকাংশ এফডিআরই তার মায়ের নামে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
পিএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।