ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে বিদ্রোহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে বিদ্রোহ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাদের অধিকাংশই চাননা বর্তমান কমিটির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে আর দলকে এগিয়ে নিতে। তাদের সঙ্গে আর রাজনীতির মাঠে কাজ করতেও নারাজ অনেকে। এ নিয়ে এতদিন গোপনে ক্ষোভ থাকলেও এখন প্রকাশ্যেই তা বলছেন খোদ কমিটির নেতারা।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ২০৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির বয়স ছয় মাস অতিবাহিত হয়েছে। তবে কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের অনেকেই জানেন না তারা কমিটিতে আছেন কি নেই।

গত ১৩ মার্চ কমিটি অনুমোদন দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দলের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিকে ২০৫ সদস্যের কমিটি নিয়ে দলের জেলার সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের লুকোচুরির যেন শেষ নেই। দলের পদে থাকা নেতাকর্মীদেরই তারা দলীয় কমিটির কাগজ দিতে চাননি এবং দেননি। শুধু তাই নয়, মিডিয়াতেও এই কমিটির নামের তালিকা প্রকাশ করেননি তারা।

বর্তমান কমিটির একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, বিভিন্ন সম্পাদক ও সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আসার পর থেকেই দলীয় কর্মসূচিগুলো ফিকে হয়ে গেছে জেলায়। ইনডোর কিংবা আউটডোর কোনো প্রোগ্রামই তারা নেতাকর্মীদের নিয়ে করতে চান না। নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের যোগাযোগও তেমন নেই। তারা দলীয় কর্মসূচি এলে নিজেরাই আত্মগোপনে চলে যান। কমিটির নেতাকর্মীদের সবাইকে নিয়ে এখন পর্যন্ত একসঙ্গে বসতেও পারেননি তারা। এমনকী দলের কারাবন্দি অসুস্থ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলীয় কোনো কর্মসূচি, একক কর্মসূচি কিংবা তার সুস্থতা কামনায় কোনো দোয়া অনুষ্ঠান দলের সব নেতাকর্মী নিয়ে করতে পারেননি তারা।  

দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার প্রকাশ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যর্থ কমিটি ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।  

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রুহুল আমিন জানান, জেলায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও বর্তমান নেতৃত্ব একটি প্রতিবাদও দিতে পারেনি, কর্মসূচি তো দূরে থাক। এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কোনো কর্মসূচি করতেও ব্যর্থ বর্তমান নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলো তারা এখন পালন করে না করার মতোই অল্প কয়েকজন নিয়ে, যা জেলা বিএনপির কর্মসূচিকে মানুষের কাছে হাস্যরসের সৃষ্টি করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।