ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া জড়িত’‌‌ ‌‌‌

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
‘১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া জড়িত’‌‌ ‌‌‌

বরিশাল: বরিশালে এই প্রথম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহৎ পরিসরে শোকাবহ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মৃত্যুবরণকারী সব শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ‌‌‌‌‌

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে শহরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এই অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ লোকের সমাগম হয়। পাশাপাশি এসময় স্কুল-কলেজ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

হাসানাত আবদুল্লাহ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা এই দেশের স্বাধীনতা চায়নি। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর। যার ফলস্বরূপ ২১ বছরে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনতা বিরোধীদের বিভিন্ন সুযোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত ও পুরস্কৃত করেছে। এই ঘটনায় জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া জড়িত ছিল। তাদের বিচার করা দরকার।

তিনি বলেন, এই মাটিতে জন্ম না হলে মাটির জন্য মায়া, মমতা, মহব্বত থাকে না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাই, তখন শুরু হয় ষড়যন্ত্র। দেখেন সাড়ে ৩ বছর বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। তিনি সারাজীবন এদেশের মানুষের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছেন।

হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তবে স্বাধীনতাবিরোধী ও বিপদগামী কিছু সেনার হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্ন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। এখন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন। তার নিরলস চেষ্টায় আজ বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ এবং এই জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নে দক্ষিণাঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নেতাকর্মী ও জনতাকে সোচ্চার হতে হবে।

হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, সবকিছু হারিয়ে আমার বাবা-ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি আপনাদের মধ্যে দেখেছি। যে কারণে হয়তো এতো দীর্ঘ সময় আমি বেঁচে আছি। যতদিন বেঁচে আছি, আমি আপনাদের সঙ্গে থাকবো। ইনশাআল্লাহ আপনাদের যেকোনো দাবি আমার সরকারের কাছ থেকে আদায় করে আনবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আমরা শোকের মাসকে শক্তিতে রুপান্তরিত করবো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।  

তিনি বলেন, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে নিতে হবে, ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাহান আরা বেগম। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

বক্তব্য রাখেন- বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য বেগম নাসরিন জাহান রত্না, নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম  জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।