ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে রায় কার্যকরের দাবি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে রায় কার্যকরের দাবি  আলোচনা সভায় অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে দ্রুত বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। কিন্তু, বাঙালির হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবে তার আদর্শ ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) তোপখানা রোডে সাংবাদিক নির্মল সেন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহদাৎ বার্ষিকী ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সব শহীদের স্বরণে আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।

তারা বলেন, আগস্ট শোকের মাস।

এ মাসে আমরা জাতির জনককে হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন করাই আমাদের মূল দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা গুজব ছড়ায়, তারা দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী। এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। জনগণ অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত দেশ চায়। যেমন চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এজন্য দেশ থেকে দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শোষণমুক্ত সোনার বাংলা তৈরি করা যাবে।  

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুই সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে দেশকে পিছিয়ে দিতে। তারা চায় না বঙ্গবন্ধুর বিচারের রায় কার্যকর হোক।  

বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এসএম জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক সচিব ও ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মেখ জাহাঙ্গির আলম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণমিয়া বাবুল, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, কবি নাহিদ রোকসানা, কাজী আরফান ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাকসুদ আহমেদ প্রমুখ।

এসময় সিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর দেশে শুধু তিন জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছিল। কিশোরগঞ্জ, নড়াইল ও বরগুনায়। তখন দেশের বড় বড় নেতারা কিছু করতে পারেননি। তারা এখন ঘটা করে শোক দিবস পালন করেন। সেদিন তাদের সাহস ছিল না এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার। বঙ্গবন্ধুর আসল তিন খুনি এখনও জীবিত। তাদের দেশে এনে দ্রুত বিচারের রায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণমিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধরে রাখতে বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। এজন্য প্রয়োজন আরও বেশি বেশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি গবেষণাগার করে এ কার্যক্রম চালাতে সরকার এগিয়ে আসতে হবে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছেন।  

কাজী মাকসুদ উদ্দিন বলেন, আমাদের মধ্যেই জামায়াত, শিবির, বিএনপি লুকিয়ে আছে। সুযোগ পেলেই আবার তারা আঘাত করবে। তাই, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মতো যেন আর কোনো ঘটনা না ঘটে, সেজন্য এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে যাতে কেউ আগামী ১০০ বছরেও সাহস না পায়। এজন্য প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯ 
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।