ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৯
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি

ঢাকা: ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের পেছনে দেশীয় ও আন্তজার্তিক যে শক্তি জড়িত ছিল সেই শক্তির মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শনিবার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

আইইবি সদর দপ্তর ও ঢাকা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও জামায়াত বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিতে পারেনি। এই বিষধর সাপ চুপ করে থেকে সময়ের অপেক্ষায় ছিল। সেদিন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির মধ্যে বিভ্রান্তি এবং বিভক্তির কারণে একাত্তরের পরাজিত শক্তি সাহস পেয়েছিল এবং তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিল। আমরা সেদিন সতর্ক ছিলাম না বলেই ডালিম, শাহরিয়ার, নূর ও খুনি মোশতাক, জিয়াউর রহমানরা সফল হয়েছিল।

‘একাত্তরের পরাজিত বিষধর সাপ কী অবস্থায় ছিল? আমরা বিষধর সাপকে চিনতে পারিনি! তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ২১টি বছর বাংলাদেশকে শাসন এবং শোষণ করেছে, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করেছে। শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই করেছেন। সেজন্য তাকেও বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। ’

তিনি বলেন, আগস্ট মাস এলেই মনে পড়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কথা। খালেদা-নিজামী চারদলীয় জোটের আমলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে আবার এই দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের কথা। তাই আমাদের এদের থেকে সজাগ থাকতে হবে।  

নানক বলেন, আজকে বাংলাদেশে যখন পদ্মাসেতু সফল হতে যাচ্ছে, তখনই অপপ্রচার চালানো হয়- মানুষের মাথা লাগবে। একজন মা তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে গেলেও ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচারে গণপিটুনিতে তার নির্মম মৃত্যু হয়। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।  

‘আমাদের দেশে বিষধর সাপ দুটি। একটি হল জামায়াত আর অন্যটি বিএনপি। এই বিষধর সাপ বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তা না হলে স্বাধীনতা হুমকির মুখে থাকবে। ’

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার হয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের পেছনে দেশীয় ও আন্তজার্তিক যে শক্তি জড়িত ছিল সেই শক্তির মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।  

আইইবি-এর প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান- প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আইইবি এর সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, প্রকৌশলী নূরুল হুদা, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শিবলু প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।