মাদারীপুর: জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ নূরে আলম লিটন চৌধুরীর স্বেচ্ছাচারিতা ও মতার দাপটে মাদারীপুরের শিবচরে এলজিইডি ও জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজের টেন্ডার পাচ্ছে না অনেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তার পছন্দের দলীয় নেতা-কর্মীদের দিয়ে ঠিকাদারী কাজ করিয়ে তিনি নিজের অংশ বাগিয়ে নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-১ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট আত্মীয় জাতীয় সংসদের হুইপ নূরে আলম লিটন চৌধুরীর নির্দেশেই শিবচর উপজেলার সব ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। আর এসব কাজের ঠিকাদারী তিনি পছন্দ মতো দলীয় নেতা-কর্মীদের ভাগ করে দেন। তার নির্দেশের বাইরে কেউ টেন্ডারে অংশ নিতে পারে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা পরিষদ ও এলজিইডি’র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হুইপ লিটন মনোনীত শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ মুন্সীকে দিয়ে কাজ নিয়ে তিনি মোটা অংকের কমিশনে ঠিকাদারী কাজ বিক্রি করে দেন নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ফলে জেলা পরিষদ ও এলজিইডি’র টেন্ডারের মাত্র ৩/৪টি সিডিউল বিক্রি হয়।
এ ব্যাপারে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি অনেকের কাছে পরিস্কার। ভাই, আমরা চাকরি করি। এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। এ ব্যাপারে একই ধরনের মন্তব্য প্রকাশ করেন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিডির এক কর্মকর্তা জানান, হুইপ লিটন চৌধুরীর নির্দেশ মোতাবেক শিবচর উপজেলার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ এবং তার পছন্দ অনুযায়ী ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ করানো হয়। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।
অভিযোগের ব্যাপারে হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন চৌধুরী মোবাইলে বলেন, ‘শিবচরের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজে আমি অথবা আমার পরিবারের কেউ জড়িত নেই। আমরা চাই ভালো কোয়ালিটির কাজ। কেউ যদি কোনো কোয়ালিটি ছাড়া কাজ করে তাহলে তা শিবচর প্রশাসন দেখবে। আর আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১০