ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি: দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি বাম জোটের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি: দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি বাম জোটের অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচিতে বাম জোটের নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সরকার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে সারাদেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। 
 

রোববার (৭ জুলাই) জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি পালন শেষে এ ঘোষণা দেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন নান্নু।

তিনি বলেন, গ্যাস সবার জন্য অতিপ্রয়োজনীয়।

এর দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব পণ্যের দাম বাড়বে, কারখানার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, এসবের প্রভাব পড়বে সাধারণ জনগণের ওপর। আমরা সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। তারা যদি আমাদের আহ্বান মেনে না নেয়, তাহলে আগামী ১৪ জুলাই সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও একই দিন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। এরপরও সরকার নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে ১৯ জুলাই প্রতিনিধি সম্মেলন করে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে গোটা দেশ অচল করে দেওয়া হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বলেন, বাসাবাড়িতে কোনো সময়ই ৪৫ থেকে ৫০ ইউনিটের বেশি গ্যাস খরচ হয় না। বিদ্যুতে সিস্টেম লসের সম্ভাবনা না থাকলেও ক্ষমতাবানরা, আমলারা ১২ শতাংশ পর্যন্ত সিস্টেম লস দেখান। সরকার আবারও সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা লুটপাটের মহোৎসব করতে চায়। আমরা এটা হতে দেবো না। আমরা সবসময় রাজপথে থেকে গণমানুষের দাবি আদায় করবো।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, দেশের মানুষ কোনো সময়ই মাফিয়াদের থেকে মুক্ত হতে পারেনি। যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারাই লুটপাট করেছে। এর আগের সরকার বলেছিল, দেশ নাকি তেলের ওপর ভাসছে। তারা ভারতে তেল রপ্তানির কথা বলেছিল। বর্তমান সরকার নিজেদের মজুদের কথা ভুলে এলএনজি আমদানি করতে গ্যাসের দাম বাড়াতে চায়। এতে কারখানার পণ্য উৎপাদনে ব্যয় বেড়ে যাবে, এর চাপ আসবে জনগণের ওপর। সরকার গণতন্ত্র নির্বাসন পাঠিয়ে এখন সম্পদের অপব্যবহার করতে চায়। আমরা সাম্রাজ্যবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, জনগণের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আমাদের হরতালে সবার সমর্থন ছিল। সরকার জোর করে কিছু গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে দিয়েও হরতাল প্রতিরোধ করতে পারেনি। হরতালের সময় রংপুর, ময়মনসিংহে আমাদের মিছিল ঘেরাও করে রাখা হয়, চাঁদপুর ও খুলনায় অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, খুলনায় নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে সরকারকে বলতে চাই, এসব বন্ধ করুন, আগুন নিয়ে খেলবেন না, এ আগুনে একদিন আপনারাই শেষ হয়ে যাবেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাফি রতন, যুগ্ন সম্পাদক জহির চন্দন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
ইএআর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।