ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সময় দিয়ে নয়াপল্টন ছাড়লেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা, ভাঙচুর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
সময় দিয়ে নয়াপল্টন ছাড়লেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা, ভাঙচুর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধু নেতাকর্মীরা। ছবি: ডি এইচ বাদল ও শাকিল

ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করে একদিনের সময় দিয়ে চলে গেছে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে বাধা পেয়ে তারা এ ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা টেবিল ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে।

এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েকজন আহত হন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা টেবিল।                                          ছবি: ডি এইচ বাদলবিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি মামুন বিল্লাহ ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি। বরং বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের কয়েকজন  আহত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি মানার জন্য আগামী বুধবার (২৬ জুন) একদিনের সময় দিয়েছি। বুধবারের মধ্যে দাবি না মানলে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আবারও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।

আহত মাহবুব ইমতিয়াজ নামের বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের কর্মী অভিযোগ করেন, ডাকসুর জিএস প্রার্থী অনিক এবং এজিএস প্রার্থী সোহেল তার ওপর ভাঙা কাঁচ নিক্ষেপ করেন। এতে তিনিসহ কয়েকজন রক্তাক্ত হন। নয়াপল্টনে বিস্ফোরিত ককটেল।  ছবি: শাকিল আহমেদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান গেটে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অবস্থানের ফলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ শতাধিক নেতাকর্মী প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন।

এদিকে, ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যেখানে দাঁড়িয়ে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন, সেখানেই দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে আন্দোলন চলাকালে এ ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রদল বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে চলে যাওয়ার পর ককটেল দুটি বিস্ফোরণ হয়।  প্রাইভেটকারের কাঁচের ওপর ককটেল বিস্ফোরিত।  ছবি: শাকিল আহমেদ
ককটেল দু'টি একটা প্রাইভেটকারের ওপর পড়ায় কাঁচ ভেঙে যায়।

এ বিষয়ে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি মামুন বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সময় দিয়ে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মী চলে যাওয়ার পর কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad