ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

নয়াপল্টনে উত্তেজনা, মুখোমুখি ছাত্রদলের দু’পক্ষ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
নয়াপল্টনে উত্তেজনা, মুখোমুখি ছাত্রদলের দু’পক্ষ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মারামারি। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতারা। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকশ নেতাকর্মীও রয়েছেন। এদিকে যারা মূল দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তারা কার্যালয়ের ভেতরে ও আশে পাশে অবস্থান করছেন। তবে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সোমবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর একটি মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন বহিষ্কৃত ছাত্রনেতারা। তারা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় বহিষ্কৃত ছাত্রনেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেন। এদিকে কার্যালয়ের ভেতরে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।

বহিষ্কৃত নেতা বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি মামুন বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কারোও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চাই না। দাবি আদায়ের জন্য আমাদের কর্মসূচি চলবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় দুই ছাত্রনেতাকে ধাওয়া করেছে বহিষ্কৃতরা। এরমধ্যে একজনকে কিল-ঘুষি আর অপরজনকে ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় মহানগর ছাত্রদল নেতা এসএম জিলানী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। কিছুক্ষণ পরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাকেও বাধা দেন। এক পর্যায়ে মিলনের পাঞ্জাবি ধরে টান দেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বহিষ্কৃতরা ছাত্রনেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেট আটকে রাখায় প্রবেশ করতে পারিনি।

গত ২২ জুন রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১২ নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেন।

এর আগে গত ৩ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, ‘ছাত্রদলের আগামী কাউন্সিলে কেবল ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যেকোনোও বছরে যারা এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবল তারাই প্রার্থী হতে পারবে। ’ তার এ ঘোষণার পর গত ১১ জুন থেকে বয়সসীমা না করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র নেতারা।  

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন রাতে ছাত্রদল থেকে যে ১২ ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করা হয়, তারা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইকতিয়ার কবির, জয়দেব জয়, মামুন বিল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, দবির উদ্দিন তুষার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, আব্দুল মালেক, সদস্য আজীম পাটোয়ারী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।