ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিরোধী নেতাকর্মীদের বক্তব্যে ভদ্রতা বজায় রাখার পরামর্শ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
বিরোধী নেতাকর্মীদের বক্তব্যে ভদ্রতা বজায় রাখার পরামর্শ  তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: বিরোধী নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক সমালোচনা বা বক্তব্য দেওয়ার সময় ভদ্রতা ভব্যতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অবশ্যই  সব কিছুর সমালোচনা থাকতে হবে। আমরা যুক্তি-তর্কভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় বসবাস করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করেন। 

রোববার (১৬ জুন) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ছাত্ররাজনীতি করতেন, মান্নার কাছে এমন অশোভন বক্তব্য আশা করিনি।

সমালোচনার মধ্যেও ভদ্রতা ভব্যতা থাকতে হয়। অবশ্যই সমালোচনা থাকবে। তিনি যে ভাষায় সমালোচনা করেছেন, আমি আশা করবো বারবার দল বদলের জন্য তাকে যেন মানুষ ৪২০ রাজনীতিবিদ না ভাবে, সেটি আমার প্রার্থনা বা কামনা।

তিনি বলেন, বাজেট দেওয়ার পর বিএনপি, সিপিডি গত ১০ বছর ধরে একই সমালোচনা করে আসছে যে বাজেট উচ্চাবিলাসী, বাস্তবায়নযোগ্য নয়, গরিব মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে না, সেটি থাকবেই। বাজেট ঘোষণার পরপর গৎবাঁধা কথা থাকবেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরের দেশে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ৬শ ডলার থেকে প্রায় দুই হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আড়াই গুণ বেড়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বেড়েছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমার প্রশ্ন? আমরা ভুল বাজেট দিলে এই অর্জন কীভাবে হলো।  

‘১৫ কোটি মানুষের ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে শুরু করে বর্তমানে ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত। ফলে সরকার চাল রপ্তানির চিন্তা করছে। ’  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের হার শতকরা ৯৩ থেকে ৯৫ শতাংশ। কোনো কোনো বছর বেশি হয়েছে। উন্নয়ন বাজেট ৯০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। তারপরও তারা বলছে বাস্তবায়ন হয়নি।

মানুষের স্বপ্ন না থাকলে সে বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারে না মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিটি রাষ্ট্রের একটি স্বপ্ন ও লক্ষ্য থাকতে হয়। সেজন্য প্রতিবার উচ্চাবিলাসী বাজেট দিয়েছেন ও বাস্তবায়ন করেছেন। এজন্য দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি, সিপিডি এমনভাবে সমালোচনা করে, তাতে মনে হয় তারা সমালোচনার জন্য গবেষণা করেন। অন্য কোনো কিছুর জন্য গবেষণা করেন না।  

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক বলছে বাংলাদেশ এগিয়েছে। তাদের চেয়ে কি সিপিডির গবেষণা বেশি ভালো। বিএনপি প্রতিবার গৎবাঁধা সমালোচনা করে। তাদের বলবো অর্থবহ সমালোচনা করুন। যুক্তি ও তর্কের ভিত্তিতে দেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করুন।

আপনার দৃষ্টিতে বাজেট কেমন হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান মাহমুদ বলেন, এবাবের বাজেট চমৎকার বাজেট হয়েছে। এ বাজেট শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যবান্ধব বাজেট। ব্যবসা বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে, দেশের উন্নয়ন হবে।  

গণফোরাম সভাপতির বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তার নিজের ঐক্য ধরে রাখার জন্য অনুরোধ জানাবো। অনেকে ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা নিজেরা হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে আন্দোলন করবে সেটি বোধগম্য নয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।