ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করছেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৬ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৯
বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করছেন ফাইল ফটো

ঢাকা: বিএনপি নেতাদের গতবারের মতো এবারও ঈদের আনন্দ নেই। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারা হেফাজতে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দলটির নেতাকর্মীদের মনে ঈদের খুশিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

একদিকে দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি, অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান, ছোটভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও তার দুই মেয়েও ঈদ করবেন লন্ডনে।

সব মিলিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই বললেই চলে।

প্রতিবছর দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন শুরু হয় দলীয় নেতাকর্মীদের। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় গত বছরের মতো এবারও সেটি হচ্ছে না। তবে, নেত্রীর অনুপস্থিতিতে এবার ঈদের নামাজের পরপরই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতারা কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে।

জানা গেছে, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অনেকে ঈদের সময় নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন। আবার শীর্ষ নেতাদের অনেকেই থাকবেন ঢাকায়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাতেই ঈদ করবেন। তিনি উত্তরার একটি মসজিদের ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঈদ করবেন ঢাকায়। তবে ঈদের দিন বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লায় যাবেন।  

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ও ড. আব্দুল মঈন খান নিজ এলাকা নরসিংদীতে ঈদ করবেন বলে জানিয়েছেন।

এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ঢাকায় ঈদ করবেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামে ঈদ করবেন।  

মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান ওমরা পালনের জন্য সৌদিতে অবস্থান করছেন। ঈদের আগে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।  

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতে আছেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সালাহ উদ্দিন জামিনে থাকলেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে ভারতেই ঈদ করতে হচ্ছে।

দলের ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিমা রহমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু ঢাকায় ঈদ করবেন।  

আলতাফ হোসেন চৌধুরী নিজ এলাকা পটুয়াখালী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুরে, এম মোর্শেদ খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন তাদের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামে ঈদ করবেন।  

ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ঝালকাঠির রাজাপুরে ও শামসুজ্জামান দুদু চুয়াডাঙ্গায় ঈদ করবেন বলে জানিয়েছেন।

ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আছেন। সপরিবারে তিনি সেখানেই ঈদ করবেন।  

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আমেদ, রিয়াজ রহমান, সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান থাকছেন ঢাকায়।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত বছরের মতো এবারও নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ করবেন। যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও হাবিব উন নবী খান সোহেলের ঈদ কাটবে কারাগারে।  

যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ঢাকায়, মজিবুর রহমান সরোয়ার বরিশালে, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ঢাকায়, খায়রুল কবির খোকন নরসিংদী ও হারুন-অর রশিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ করবেন।

এছাড়া, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন নিজ এলাকা গাজীপুরে, এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহে ও শামা ওবায়েদ ফরিদপুরে ঈদ করবেন।  

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ঢাকায় ঈদ করবেন। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু কারাগারে ঈদ করবেন।

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের নামাজ আদায়ের পর বিএসএমএমইউতে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে চাওয়ার ব্যাকুলতা নিয়ে হাসপাতালে যাবো। এতেই আমার ঈদের আনন্দ।

তিনি বলেন, ঈদের দিন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছেন। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে, কে কে দেখা করতে পারবেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
এমএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।