ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জঙ্গিরা জামিন পায় কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৯
জঙ্গিরা জামিন পায় কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নিম্ন আদালত থেকে ভয়ঙ্কর জঙ্গিরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে সরকার জঙ্গিদমনের নামে যা করছে তা পরিকল্পিত নাটক কি না তা নিয়ে। 

সোমবার (০৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।  

রিজভী বলেন, ‘র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেছেন-গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে ৩০০ জন পলাতক রয়েছেন।

২০১৬ সালের ওই হামলার পর গ্রেফতার ৫১২ জন জঙ্গির মধ্যে ৩০০ জন জামিনে রয়েছেন। জামিনে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশ এখন পলাতক। র‌্যাবের মহাপরিচালকের বক্তব্য শুনে জাতি বিস্মিত ও স্তম্ভিত। ’

তিনি বলেন, জঙ্গিরা জামিন পাচ্ছে কিভাবে? আমরা জানি নিম্ন আদালত সম্পূর্ণরূপে সরকারের করায়ত্ত্বে! গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, বরেণ্য আইনজীবী কেউই নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান না। তাহলে জঙ্গিরা কিভাবে জামিন পান?

‘ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদ হবে এবার’ ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক নয়, সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঈদ হবে এবার। কারণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কোটি কোটি কৃষকের ঘরে ঘরে কোনো ঈদ আনন্দ নেই।  

‘বেশির ভাগ মানুষের পকেটে টাকা না থাকায় মার্কেটগুলো প্রায় ফাঁকা, বেচাকেনা নেই সেটি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা। এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকেরা এখনও বেতন-বোনাস পাননি। তাদের মনেও ঈদের আনন্দ নেই। দেশে কোটি কোটি যুবক বেকার। তাদের ঘরেও ঈদের আনন্দ নেই। ’

সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকারের লেখা বইয়ের বক্তব্য প্রত্যাহার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আওয়ামী ম্যানুফ্যাকচার্ড ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সেই লেখক কিংবা ইতিহাসবিদকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। বই প্রকাশের ৫ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার এবং সাবেক মন্ত্রীকে যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে সেটি জনগণের কাছে খুবই পরিষ্কার।  

‘এর আগে কখনো আদালতকে ব্যবহার করে আবার কখনো গোয়েন্দাদের ব্যবহার করে মুক্তমনের বিবেকবান কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, জীবনী লেখক, ইতিহাসবিদদের ওপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে লিখিত গ্রন্থের বিভিন্ন অধ্যায় পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে। ’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, নাজমুল হক নান্নু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৯
এমএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।