ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগে দূষিত কোনো রক্ত রাখা হবে না: নাসিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৯
আওয়ামী লীগে দূষিত কোনো রক্ত রাখা হবে না: নাসিম বক্তব্য রাখছেন মোহাম্মদ নাসিম/ছবি- শাকিল

ঢাকা: আওয়ামী লীগে দূষিত কোনো রক্ত রাখা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, যেকোনো অশুভশক্তি দলের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকুক তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

আগামী কাউন্সিলে এজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কাউন্সিলে এজন্য ৮টি টিম করা হয়েছে। তারা সারাদেশে সার্ভে করে আওয়ামী লীগের দূষিত রক্ত খুঁজে বের করবে।

শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বর্তমান বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ নাসিম।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পন্টু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের উপদেষ্টা সৈয়দা রোকেয়া বেগম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।  

আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী এবাদুল ইসলাম। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ।

নাসিম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরে এসেছেন বলে মানুষ আজ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ থেকে গণতন্ত্রকে বারবার ‘বিশেষ’ জায়গায় আটকে রাখা হয়।

তিনি বলেন, দেশ কোনো সময় শঙ্কামুক্ত ছিল না। একটি মহল গোপনে চক্রান্ত করে চলছে। এজন্য গণতন্ত্র রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তাই শেখ হাসিনার কোনো উন্নতি বা অগ্রগতি একটি মহল সহ্য করতে পারে না। যতো উন্নতি হবে তাদের ষড়যন্ত্র ততো গভীর হবে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিবাদ বা আন্দোলন করার ক্ষমতা নেই। নির্বাচন নিয়ে যদি তাদের প্রশ্ন থাকলে প্রতিবাদ করুক।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধরে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা সরকার সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চায়। এজন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে যুব সমাজকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পন্টু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশে শুধু হত্যা, নির্যাতন ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে গেছে। আর শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে। এই উন্নয়নের ধারা থামিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

বলরাম পোদ্দার বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফেরায় গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। তার নেতৃত্বে জনগণ ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান দুর্জয় বলেন, বিএনপি রাজপথে নেমে আন্দোলন করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তবে গোপনে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা যদি সচেষ্ট থাকি তাহলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।