ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির নানা কর্মসূচি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির নানা কর্মসূচি

ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (৩০ মে)। 

১৯৮১ সালের এ দিনে চট্টগ্রামের পুরোনো সার্কিট হাউসে ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।

এ উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এর অংশ হিসেবে বুধবার (২৯ মে) বিএনপির উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সকাল ১০টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করবেন।

মাজার প্রাঙ্গণে ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন তিনি। এছাড়া ড্যাবের উদ্যোগে সকাল থেকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর রাজধানীর গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শতাধিক স্পটে এ খাবার বিতরণ করা হতো। কিন্তু এবার খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তা সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।

মাজার জিয়ারতের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গরিবদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী, খাবার ও কাপড় বিতরণ করবেন। মহাখালীর আরজতপাড়াসহ কয়েকটি স্পটে এসব বিতরণ করা হবে।  

এছাড়াও শুক্রবার (৩১ মে) মিরপুর কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ডসহ ছয়টি স্পটে গরিবদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী, খাবার ও কাপড় বিতরণ করা হবে।

এদিকে, দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের দুঃসময়ে শক্ত হাতে হাল ধরেন জিয়াউর রহমান। তার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে অবস্থান করছেন তিনি।

ফখরুল বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার দেশে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। কেন্দ্রীভূত স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভূ বর্তমান সরকার। এরা নতুন কায়দায় পুরোনো বাকশালকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। বিরোধীদলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।