ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৯
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ: রিজভী

ঢাকা: ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (০৮ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন মানুষের দুঃখ-দুর্দশা শোচনীয় পর্যায়ে উপনীত হবে।

সরকার যতই গণতন্ত্রের কথা বলুক, সে চায় ‘নির্বাক জনগোষ্ঠী’। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষ আর নির্বাক বসে থাকবে না। যেকোনো মুহূর্তে ক্ষমতার ‘গণেশ’ উল্টে যাবে।

তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। অথচ এর পরদিন থেকেই হু হু করে দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যের। নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ক্রেতারা। রমজানে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।  

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্যের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ না করে, প্রমান করেছেন যে নাগরিক সেবায় তারা ব্যর্থ। নিত্যপণ্যের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যৌক্তিক কারণ না থাকার পরেও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। যে কারণে সাধারণ মানুষের দুঃখ আরও বেড়ে গেছে। তাদের আয়ের পুরোটাই চলে যাচ্ছে চাল, ডাল, শাক-সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য কিনতে। তা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে, সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা বাগাড়ম্বর করে চলেছেন। বাজারে সরকারের কোনো নজরদারিই নেই। তাদের নজর লুটপাটে।

রিজভী বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, পশুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে প্রতি কেজি মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এই চাঁদাবাজির অর্থ যাচ্ছে সরকারের ওপরের মহলে। পবিত্র রমজান মাস এলেই দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করে ফেলে আওয়ামী সিন্ডিকেট। এতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। লুটপাটতন্ত্র সর্বত্র জেঁকে বসেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে রিজভী বলেন, সবক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থ এই মিডনাইট নির্বাচনের অন্ধকারের সরকারকে বলবো- দ্রুত পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেশের জনগণের ঘাড়ে জোর করে চেপে থেকে আর কষ্ট দিবেন না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দিন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন রোয়েদাদ (মজুরি কাঠামো) এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। রমজান মাস শুরু হলেও, পাটকলগুলোতে শ্রমিকদের ১০ থেকে ১৫ সপ্তাহের মজুরি বাকি। এ মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সামর্থ তাদের নেই। স্টাফদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থের প্রতি সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই। বরং তাদের ওপর শোষণের মাত্রা আরও তীব্র হয়েছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে পাটকল শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
এমএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।