ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘ব্যর্থ’ সরকারকে ধিক্কার রিজভীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘ব্যর্থ’ সরকারকে ধিক্কার রিজভীর রুহুল কবির রিজভী

ঢাকা: রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে না, বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরদিনই সকল পণ্যের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  তিনি বলেন, মিডনাইট ভোটের সরকারের মন্ত্রীরা যা বলেন, ঘটে তার উল্টোটা। দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারেও তাই ঘটেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবারেও পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি বিক্রি হয় ২৫ টাকায়।

এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ২০ টাকায়। মঙ্গলবার সব বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৬/২৭ টাকায়। একইভাবে এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছিলো ৮০ টাকায়। এখন তা বেড়ে ১২০ টাকা। আলু প্রতি কেজি ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা। চিনি ৫২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৬ টাকায়। সয়াবিন তেল ৯০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি  হচ্ছে ৯৮ টাকায়।  

এভাবে বেড়েছে ছোলা, ডাল, আদা, ময়দা, কাঁচামরিচসহ সবরকম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। যা কিনতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ক্রেতারা। স্বল্প আয়ের মানুষ রমজানের আগে আঁতকে উঠছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের এই মূল্য বৃদ্ধিতে। পবিত্র রমজানের প্রাক্কালে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকারকে ধিক্কার জানাই। ”

অবৈধভাবে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা কখনোই জনস্বার্থ দেখে না দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা শহরে ওয়াসার দূষিত পানির সরবরাহে জনজীবন এখন ভয়ঙ্কর রকম সংকটাপন্ন। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নির্বিকার। বাড়িতে বাড়িতে টাইফয়েড, ডায়রিয়া,  মহামারী আকার ধারণ করেছে। একদিকে সবজির অগ্নিমূল্য অন্যদিকে দূষিত পানি পান জনজীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ। ওয়াসার এমডি নিজে ওয়াসার পানি পান করেন না, অথচ তিনি বলছেন-ওয়াসার পানি ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ। আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসার মানববিধ্বংসী নীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

দেশে অনাচার-বিচারহীনতা, নারী-শিশু নির্যাতনসহ অপরাধ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীনদের সত্তা যদি হয় অবৈধ, সরকারের গঠন যদি হয় জনসম্মতিহীন তাহলে সেখানে শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক অপরাধপ্রবণতাও বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে। বর্তমান সরকারের সেই স্বরূপের কারণেই বাংলাদেশে ধর্ষণ, হত্যা ও অপহরণ বাড়ছে। রক্তঝরা ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে লোমহর্ষক ঘটনা গত ১৯ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বাশারের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি দরিদ্র কালা মিয়ার পা কেটে নেয়। কালা মিয়ার পুত্র বিপ্লবের দুপায়ের রগও কেটে দিয়েছে। থানার ওসি বলেছে, অনেক বড় এলাকা কালা মিয়ার কর্তনকৃত পা পাওয়া যাচ্ছে না। এই পৈশাচিক ঘটনা বিচারের মুখ দেখবে কি কোনদিন? 

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।