ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

নারী নির্যাতন-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়বে ১৪ দল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
নারী নির্যাতন-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়বে ১৪ দল ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথিরা/ছবি-শাকিল

ঢাকা: খুনি, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতনকারী, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

এ লক্ষ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) মতিঝিলে ১৪ দলের সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। নাসিম বলেন, সব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা মাঠে নেমেছেন।

শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, এদের বিরুদ্ধেও সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নাসিম। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য।

নাসিম বলেন, হাইব্রিডরা দলের অনেক ক্ষতি করছে। এরা বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্মা। তা না হলে একজন হত্যাকারীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিতে পারে। এমন দু’একজনের জন্য আমাদের সব অর্জন নষ্ট হতে দিতে পারি না। ফেনীর ঘটনায় একজন ওসি কিভাবে খুনিদের আশ্রয় দেয়। এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে চলতে দেওয়া যায়না।
 
এ সময় বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল বিএনপির সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার শেষ সময়। এর মধ্যে শপথ না নিলে তারা আমছালা দু’টোই হারাবে। আমি তাদের বলবো সংসদে এসে আমাদের সমালোচনা করুন, ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিন। এ সুযোগ নষ্ট করবেন না।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন না করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ইতিহাস অস্বীকার করতে চায়। যারা জাতীয় দিবসগুলো পালন করে না তারা কি করে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে? 

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কিভাবে হবে তা চিকিৎসকরা নির্ধারণ করবেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দলের নেতারা কেন খালেদা চিকিৎসার ব্যাপারে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। কিছুদিনের জন্য কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়, কিন্তু চিরদিনের জন্য সব মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় না।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আজ বিএনপি-জামায়াতকে কোণঠাসা করতে পেরেছি কিন্তু রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি পরাজিত করতে পারিনি। আজ উগ্রসাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। একটা প্রবাদ আছে, তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে। এরা গোকুলে বাড়ছে। উগ্রসাম্প্রদায়িক শক্তি শ্রীলঙ্কায় হামলা করেছে। এদেশকে আমরা এই ধ্বংসের কিনারায় ঠেলে দেবো কিনা আজ আমাদের ভাবতে হবে।

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা মুজিবনগর দিবস পালন করে না তারা পাকিস্তানের দালাল। পাকিস্তানপন্থি বিএনপি মুজিবনগর দিবসকে অস্বীকার করে। জামায়াত ও জঙ্গিবাদকে এই বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা করে। এই বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বিতারিত না হলে গণতন্ত্র মজবুত হবে না। এদেরকে রাজনীতির মঞ্চ থেকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।  

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, যারা ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালন করে না তারা স্বাধীনতার পক্ষের বা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে, এটা আমার বিশ্বাস হয় না। হঠাৎ করে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়নি। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এই প্রেক্ষাপট বঙ্গবন্ধু তৈরি করেছিলেন। কেউ কেউ বলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি নাকি জিয়াউর রহমান। ওদের প্রতি ধিক্কার জানাতে হয়। যারা এই রাজনীতি করে তাদের প্রতি ধিক্কার ও করুণা জানাই।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিণ আক্তার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৯ 
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।