ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

এমপিদের সংসদে যাওয়ার সঙ্গে কয়েদির জামিন সম্পৃক্ত নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
এমপিদের সংসদে যাওয়ার সঙ্গে কয়েদির জামিন সম্পৃক্ত নয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন হানিফ

ঢাকা: বিএনপির যারা সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সংসদে যাওয়া-না যাওয়ার সঙ্গে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মুক্তি বা জামিনের বিষয়টি সম্পৃক্ত নয়ে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ।

তিনি বলেন, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মুক্তি কেবল আইনি প্রক্রিয়া অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর তিনি ক্ষমা করেন তাহলে হতে পারে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সভাপতি ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিলে বিএনপির এমপিরা সংসদে যোগ দেবেন কি না?- এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহবুব উল-আলম হানিফ বলেন, আমরা বার বার বলেছি খালেদা জিয়া আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। রাজনৈতিক কোনো কারণে তিনি কারাগারে না। দুর্নীতির অভিযোগে ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলা হয়েছিলো। সেই অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছে। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মুক্তির বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।  

প্যারোল মুক্তির বিষয়ে হানিফ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো আবেদন করেছে কি না, আমাদের জানা নেই। তবে সাংবাদিকদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়, সেক্ষেত্রে ওনারা বিবেচনা করতে পারেন।  

হানিফ আরও বলেন, যারা জতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সংসদে যাওয়া, না যাওয়ার সঙ্গে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মুক্তির বিষয়টি সম্পৃক্ত হতে পারে না। জাতীয় সংসদে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে তার সংসদে যাওয়া। যে ভোটাররা তাকে ভোট দিয়েছেন তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে ওনাদের সংসদে যাওয়া উচিত। ভোটারদের পক্ষে কথা বলা, এলাকার উন্নয়নের জন্য কথা বলা, এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্যই ভোটাররা তাকে ভোট দিয়েছেন। নিশ্চয়ই কোনো ভোটার কাউকে মুক্তির জন্য ভোট দেয়নি।

‘খালেদা জিয়ার জামিন না হলে সংসদে শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছেন, এটা একটা বাজে সিদ্ধান্ত হয়ে থাকবে মানুষের কাছে। আমার মনে হয় প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি নেতারা যতখানি আগ্রহী, তার চেয়ে বেশি সাংবাদিক বন্ধুরা আগ্রহী। তাদের কাছ থেকে বারবার এ প্রশ্নগুলো আসতেছে। বিএনপি নেতারা  কখনো বলছেন না, তারা মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন’- বলেন হানিফ।

সম্পাদকমন্ডলির এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯ 
এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad