ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি গণহত্যা দিবসে ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত অতিথিরা/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা রুয়ান্ডার গণহত্যার চেয়েও ভয়াবহ। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতের সহায়তায় ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানি সেনারা।

বক্তারা বলেন, আমাদের লড়াই শেষ হয়নি, এ লড়াই অনন্তকাল চলবে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলণ্ঠিত করেছেন।

৭২ এর সংবিধান ছিন্নভিন্ন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন। তাই তাদের দল ও দোসরদের এ দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।
 
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণহত্যা দিবসে ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ দাবি ও বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানি শাসকরা ভীত হয়ে ২৫ মার্চ কালো রাতে গণহত্যা চালায়।

তিনি বলেন, আক্ষেপের সঙ্গে বলতে হয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বৃহত্তর গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ৩০ লাখ মানুষ হত্যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণহত্যা। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে পাকিস্তানি শাসক ও সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছেন। যারা এখনো পাকিস্তানের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করছে, সেই বিএনপি-জামায়াতকেও জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।  

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ৭১ এর ঘাতকদের বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। চিরতরে রাজনীতি থেকে তাদেরকে খতম করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি খতম না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে, আজকের গণহত্যার এ দিবসে তাদেরকে খতম করার শপথ নিতে হবে।  

সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পুনর্বাসন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, সত্য ইতিহাস জানলে বঙ্গবন্ধুকে জানা যাবে। ২৫ মার্চের কথা জানা যাবে। এখনই সঠিক ইতিহাস জানার, তাই অধ্যয়ন করতে হবে।

বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে কোনোদিন ক্ষমতা ও বিরোধী দলে আসতে না পারে, গণহত্যার এ দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায়ও থাকবো, বিরোধী দলেও থাকবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
টিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad