ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

ভীতদের দায়িত্ব ছাড়তে বললেন গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
ভীতদের দায়িত্ব ছাড়তে বললেন গয়েশ্বর বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ঢাকা: দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা মামলা-হামলার ভয় পায় তাদেরকে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, যারা মামলা-হামলা-নির্যাতনে ভয় পান তারা দয়া করে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যারা ভয় পান না তারা দায়িত্ব পালন করবে।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বেলা ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলাধীন দোহার ও নবাবগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে অনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ এখন বিএনপি নয়, দেশের মানুষের দুঃশাসন চলছে। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে বিএনপিকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই আমি বলবো, যারা মামলা মোকাদ্দমায় ভয় পান তারা দয়া করে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যারা ভয় পাবেন না তারা দায়িত্ব পালন করবেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, মহাসচিব ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলবো যারা মামলা মোকাদ্দমা উপেক্ষা করে রাজপথে থেকে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করবে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হউক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে খুশির বিষয় হচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছেন। আমরা সবাই জানি খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সবই মিথ্যা। যেসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। টাকা যা ছিল তা তিনগুণ হয়ে ব্যাংকে আছে। তারপরও দেশনেত্রীকে ওই মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। ইতিহাস বলে কোনো দেশে জনগণের নেতাকে মামলা, সাজা দিয়ে বেশি দিন আটকে রাখা যায় না। খালেদা জিয়াকেও রাখা যাবে না। পরে অনশনকারীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান ফখরুল।

আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।