ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হতাশ ঐক্যফ্রন্ট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হতাশ ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে নেতারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর ডাকসু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, দেশের গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সব মহলে এক ধরনের আগ্রহ ছিল। কিন্তু যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা হতাশ হয়েছি।

সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের আইনি চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ ও সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থনের কথা জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ তারিখের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের প্রতি ঘৃণা জানিয়ে জনগণ ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত, বিধায় জনগণ ভোট দিচ্ছে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

মৌলভীবাজার-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের শপথ গ্রহণের নিন্দা জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, সুলতান মনসুর জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল আমরা শপথ নেবো না। কিন্তু তিনি তা অমান্য করে শপথ নিয়েছেন। সে কারণে জোট ও তার দল গণফোরাম সুলতান মনসুরকে বহিষ্কার করেছে। অবৈধভাবে এ শপথ নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তেল, গ্যাস ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরকারবিরোধী জনমত গড়ে তুলতে আগামী মাসে জেলা ও বিভাগীয় শহরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। তবে কবে, কখন, কোথায় জনসংযোগ হবে তা পরে জানানো হবে।

এর আগে, ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. আবদুল মঈন খান, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্যর প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মো. মোকাব্বির খান।

বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে যে দলগুলো আছে সেগুলোকে আরও সুসংহত করতে হবে। এটা নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ঐক্যমত হয়েছে। গণতন্ত্র ও জনগণের স্বার্থে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, সংবিধানে যে কথাগুলো আছে, দেশ শাসনের ক্ষেত্রে শাসক দলগুলো যেন তা অনুসরণ করে। সেই বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এমএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।