ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

উপজেলা ভোটের প্রচারণায় আ’লীগ নেতার ‘মৃত্যু’ নিয়ে তোলপাড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৯
উপজেলা ভোটের প্রচারণায় আ’লীগ নেতার ‘মৃত্যু’ নিয়ে তোলপাড়

নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় তপন কুমার সরকার (৭০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার ‘মৃত্যু’ হয়েছে। নিজের ছোট ভাই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপ্লব কুমার সরকার মারধর করায় তপনের ‘মৃত্যু’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিপ্লব। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে উপজেলাজুড়ে।

রোববার (৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।  

তপন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

তার ছোট ভাই গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার সরকার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নামলেও তপন প্রচারণা চালাচ্ছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলের পক্ষে।

বাহাগিলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান দুলু বাংলানিউজকে বলেন, তপন কুমার সরকারসহ আমরা বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট এলাকায় নৌকার পক্ষে মাইকোবাসযোগে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। এ সময় সেখানে চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপ্লব কুমার সরকার তার সমর্থকদের নিয়ে এসে আমাদের মাইক্রোবাস থামিয়ে তপন কুমারকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে নেন। তার পক্ষে কেন প্রচারণা চালাচ্ছেন না, সেজন্যও বিতর্কে জড়ান বড় ভাইয়ের সঙ্গে। এক পর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ছোট ভাই বিপ্লব বড় ভাই তপনের শরীরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এতে তপন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আমরা তখন তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তপনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে বিপ্লব কুমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আমার অসুস্থ বড় ভাইকে নৌকা প্রতীকের লোকজন জোর করে বাড়ি থেকে প্রচারণার জন্য নিয়ে যায়। বড় ভাই এমনিতেই হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। আমার ধারণা বড় ভাই মাইক্রোবাসে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। অথচ আমার প্রতিপক্ষ এটিকে পুঁজি করে ফায়দা লুটবার অপচেষ্টা করছে।

উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুজা শরীফ জেমস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রোগীকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। সেখানে চিকিৎসার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানা পুলিশসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন আর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, মরদেহের সুরতহালে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছি। সোমবার (৪ মার্চ) জেলার মর্গে মরদেহের ময়না-তদন্ত করা হবে। ময়না-তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনের সময় ভোটগ্রহণ হবে কিশোরগঞ্জেও।

বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।