ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘দল পুনর্গঠন করা হচ্ছে, হতাশ হবেন না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
‘দল পুনর্গঠন করা হচ্ছে, হতাশ হবেন না’ বক্তব্য রাখছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ/ছবি: শাকিল

ঢাকা: দল পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

শনিবার (২৩ ফেব্রয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার রচিত দু’টি গ্রন্থের প্রকাশনা-পাঠ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোশাররফ বলেন, ইতোমধ্যে দল পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

যেখানে যা দুর্বলতা, তা খুঁজে বের করে দলকে শক্তিশালী করা হবে। আপনারা হতাশ হবেন না। দলকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।  

তিনি বলেন, একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজে সত্য পরাজিত, মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত। গণতন্ত্রের ‘মা’ খালেদা জিয়া আজ কারাগারে বন্দি। দলকে শক্তিশালী করে তার মুক্তির আন্দোলনে নামতে হবে। হতাশ না হয়ে জেগে উঠুন।  

নজিরবিহীন এক প্রহসনের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে মানুষের। এতো কিছু হরণ হয়ে গেলো, দেশের মানুষ এমনিতে বসে থাকবে তা বিশ্বাস করি না। অনেকে বলেন, বিএনপি পরাজিত। নেতাকর্মীরা হতাশ। এটা সত্য নয়। আমি বলবো, বিএনপি পরাজিত নয়। ২৯ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতি ও ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসন দেখে আমাদের নেতাকর্মীরা হতভম্ব। এ সরকার স্বৈরাচার। আর কোনো স্বৈরাচার বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। ভোট ডাকাতি করে একটি অস্বাভাবিক নির্বাচন ঘটিয়ে টিকে থাকা যাবে না। মানুষ নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।

এসময় চকবাজারের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, চকবাজারের ঘটনা ভয়াবহ। এ সরকার কোনো ট্র্যাজেডির পর কথা রাখেনি। কোনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি। যা বলে তারা তা করে না। আমি মনে করি, আবাসিক এলাকায় সেখানে যেসব কেমিক্যাল গোডাউন আছে, তা আলাদা জায়গা নির্ধারণ করে তাদের স্থানান্ত করতে হবে। নইলে চকবাজারের মতো আবারও ঘটনা ঘটতে পারে।

দল (বিএনপি) নিয়ে অনেকটা আক্ষেপ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা যে দলটি করি বিশ্বে অনেক জায়গায় গেলে আমাদের দাওয়াত করে খাওয়ায়। কিন্তু কিছু কিছু সময় দল আমাদের চিনতে পারে না। এতোটাই অপরিচিত মানুষের মতো ব্যবহার করে, তখন খুব খারাপ লাগে।

মিডিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতকে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ অন্যান্যরা সামনে নিয়ে এসেছে। একটা সরকারি খেলা শুরু হয়েছে, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারির একটি বয়ান দিয়ে মনে হচ্ছে তারা ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো ইস্যু নাই। জামায়াত তো কোনো সমস্যা না। জামায়াত যদি রাজনীতিতে ভুল করে, তারা সেটা সংশোধন করবে। অথবা তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিবে। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই, গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া হয়েছে।

বন্দুকের নল দিয়ে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, এটা নিয়ে মিডিয়াতে আলোচনা সেভাবে নাই, শুধু জামায়াত আর জামায়াত।

‘খালেদা জিয়া স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী, এ একটি পয়েন্টের জন্য তাকে বাইরে রাখা উচিত। তারপরে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছে। তিনি একমাত্র নেত্রী তাকে জেলে আটকে রেখেছে এক বছরের বেশি সময় ধরে’- বলেন দুদু।

আলেচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দীন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কবি আবদুল হাই শিকদার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
ডিএসএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।