ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৫ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৫  অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা-ছবি-বাংলানিউজ

জবি: পূর্বের রেষারেষি ও নতুন করে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি রাকিব ইসলাম ও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে স্থগিত কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির কর্মীরা একত্র হয়ে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।

এরপর বেলা ১১টার দিকে স্থগিত কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কমিটির দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের ধাওয়া দেন আগে থেকে অবস্থানরতরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আহমেদ খানসহ বিদ্রোহীদের আটজন এবং স্থগিত কমিটির দুইজন আহত হন।

এরপর আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস গেট থেকে সরে গেলে স্থগিত কমিটির কর্মীরা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে মোবাইলে ছবি ধারণ করাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ের নিচে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এসময় কমপক্ষে পাঁচ সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। এদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  

এরপর বিকেল ৩টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে গেটে অবস্থান নেয় স্থগিত কমিটির কর্মীরা। এসময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি রাকিব আক্রান্ত হন।  তাকে এলোপাতাড়ি আক্রমণ ও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ সুমনা হাসপাতালে পাঠায়।
 
এ বিষয়ে জানতে জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কেটে দেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।  

এদিকে, ক্যাম্পাসের আশপাশে বিভিন্ন স্থানে উভয় গ্রুপের শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। ফলে এসব এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশপাশের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
কেডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।