ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

রামপালে বিএনপি নেতা হত্যা: রহস্য উদঘাটনে মাঠে পুলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
রামপালে বিএনপি নেতা হত্যা: রহস্য উদঘাটনে মাঠে পুলিশ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাজা মঈনুদ্দিন আখতারকে তিনটি কারণে হত্যা করা হতে পারে বলে পুলিশে ধারণা। তিন কারণের সূত্র ধরে এরইমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে তদন্ত শুরু করেছে। 

কারণগুলো হলো- ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্তবিরোধের জের।

তবে ঘটনার একদিন পার হলেও শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো মামলা বা কেউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

সকালের দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে রামপাল উপজেলার ভরসাপুর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় নিহত হন বিএনপি নেতা খাজা মঈনুদ্দিন আখতার। ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী চম্পামালা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বোমা হামলার কয়েক মিনিট আগেই তার স্বামীর সঙ্গে ভরসাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা বলে ভ্যানে করে ফয়লা এলাকায় চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে ফয়লায় বসে তিনি শুনতে পান তার স্বামীর ওপরে বোমা হামলা হয়েছে। এর পর তার সঙ্গে আর দেখা হয়নি। ’

তিনি বলেন, ‘অনেকদিন থেকে তার স্বামী রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। হজে যাওয়ার জন্য টাকা জামা দিয়েছিলেন, যার কারণে সব ধরনের বিরোধ থেকে নিজে দূরে থাকতেন। তার বাবা খাজা সোবাহান আলীও এখানকার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। ’

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘রামপাল উজলকুড় এলাকার জনপ্রিয় নেতা খাজা মঈনুদ্দিন আখতারকে যারা পরিকল্পিতভাবে বোমা মেরে হত্যা করেছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একজন জননেতাকে প্রকাশ্যে বোমা মেরে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ’

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) পংকজ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় ডিবি ও রামপাল থানা পুলিশসহ বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা বোমা মেরে তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ তিনটি কারণ গুরুত্ব দিয়ে এরইমধ্যে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ শুরু করছে। থানায় এখনো মামলা হয়নি এবং কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলা হলে তাদের প্রাপ্ত তথ্য ও আমাদের তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।

এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে বলে দাবি পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।