ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: নাসিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: নাসিম

ঢাকা: বর্তমানে বিরোধীদলহীন রাজনীতির জন্য বিএনপি নিজেই দায়ী মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াতকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণেই বিএনপির এই দশা।

আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নাসিম এ কথা বলেন।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিরোধীদলহীন রাজনীতির জন্য দায়ী বিএনপি নিজেই।

সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াতকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে তাদের এই অবস্থা। এবারের নির্বাচনে নারী-পুরুষ সবাই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ক্ষেত্রে কোনো আপোষ নয়, জামায়াতকে পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো, এই সংসদের মাধ্যমে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চাই, যা বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, তারা জামায়াতের সঙ্গে আছে কি-না। নইলে তারা চিরদিনের জন্য আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রথম যখন আমি পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে আসি, তখন বক্তব্য কিভাবে দিতে হবে তা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছে থাকে শিখেছিলাম। তিনি একজন যোগ্য পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য ছিলেন। তাকে আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তাকে জেনেছি, শিখেছি। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবক্তা ছিলেন তিনি। হয়তো তাকে যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি।

সভায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বলে মানুষ নির্বাচনে তাদের ভোট দেয়নি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের মনোনয়ন বাণিজ্য।

নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করে এখন পর্যন্ত সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া বিএনপিকে অনুরোধ করে কামরুল বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র না করে আপনারা সংসদে আসুন, কথা বলুন। প্রধানমন্ত্রীতো বলেই দিয়েছেন সবাইকেই কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজদের বর্জন করে নতুন নেতৃত্ব আনুন, তাহলেই হয়তো জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, অভিনেত্রী সারা বেগম কবরী, শাহনুর এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
ডিএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।