ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিএনপি

‘কিছু জানি না’ বলেও রিজভী বললেন ‘অপপ্রচার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
‘কিছু জানি না’ বলেও রিজভী বললেন ‘অপপ্রচার’

ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্য (এমপি) শপথ নেবেন কি-না সে বিষয়ে ‘কিছু জানেন না’ বলে দাবি করেছেন ফ্রন্টের আরেক শরিক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। আবার তিনি এও বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা কেউ কোনোভাবে সংবাদ প্রচার করেছে। এটা অপপ্রচার হয়েছে।’

সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার (২৭ জানুয়ারি) গণফোরামের নির্বাচিত দুই এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান বাংলানিউজকে জানান, তারা শপথ নেবেন

জোটশরিক বিএনপির নির্বাচিত ৬ এমপির বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিজভী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। তারা শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি-না। আমি যতটুকু জানি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেখানে বিএনপিসহ অন্যান্য সবাই আছেন, সবাই একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমার মনে হয় এটা কেউ কোনোভাবে সংবাদ প্রচার করেছে। এটা অপপ্রচার হয়েছে। ’

দুই এমপি স্বয়ং শপথের কথা বলেছেন- এমনটি জানালে রিজভী বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া তারা কিভাবে বলেন? আমার মনে হয় এটা কিছু না, সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। যা করা হবে সবার একই সিদ্ধান্ত হবে। আমি মনে করি শপথ না নেওয়ার বিষয়ে এর আগে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটা এখনও বলবৎ আছে। ’

নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের মামলা করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘যার যার মতো করে প্রার্থীরা মামলা করবেন। কেউ করেছেন কি-না সেটা আমার জানা নেই। তবে করলে করতে পারেন। এই সরকারের সাথে মামলাই কী করবেন, আর কী হবে? সবকিছুতো একাকার। তারপরও যারা মামলা করার তারা করবেন। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফ থেকে গণভবনে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের চায়ের দাওয়াত সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘আমি একা বললেতো হবে না। এটা দলীয়ভাবে যারা সিনিয়র আছেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে যথাসময়ে জেনে যাবেন। ’

লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘জনগণ ৩০ ডিসেম্বর ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোটারবিহীন ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়েছে। সুতরাং নির্বাচনোত্তর সরকার নিজেকে যে নামেই অভিহিত করুক, সেটি অবৈধ সরকার। এই সরকার রাতের আঁধারের ভোটের সরকার। অথচ আওয়ামী লীগ বলছে, তাদের প্রার্থীরা নাকি লাখ লাখ ভোটে বিজয়ী হয়েছে। প্রকৃত ভোটাররা এই কথায় নিজেদের অধিকার হারিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র এমন এক ভয়াবহ একদলীয় রূপ ধারণ করেছে যেখানে অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এতো বড় মহাভোট ডাকাতি ও মহাভোট জালিয়াতির নির্বাচন গোটা জাতির সামনে সংঘটিত হলো, অথচ নির্বাচন কমিশন জানালো যে, ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি’। প্রধান নির্বাচন কমিশানারসহ অন্যান্য কমিশনারদের মনে কোনো অনুশোচনা নেই। ’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।