ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সুনামগঞ্জে হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
সুনামগঞ্জে হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি-বাংলানিউজ

সুনামগঞ্জ: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমাদের সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। 

তিনি বলেন, হাওরের মানুষের কষ্ট তিনি বোঝেন। হাওরে ধান লাগানো হয়েছে কি না, সারের কোনো অভাব আছে কি না, হাওরের মানুষের সব ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন প্রধানমন্ত্রী।

 

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সুনামগঞ্জ যুবলীগ কতৃক আয়োজিত গণসংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতি চান, কল্যাণ চান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা শুধু দেশ স্বাধীন নয়, অর্থনৈতিক মুক্তিসহ সব ধরনের স্বাধীনতার জন্য এ দেশ পকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করা হয়। কিন্তু ঘাতকরা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সে পথ বন্ধ করে দেয়। পরে আবার যখন ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে সে অগ্রযাত্রা আবার শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়।

এম এ মান্নান বলেন, আমি যখন জেলা প্রশাসক ছিলাম তখন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হলে আমি তাকে বলেছিলাম, আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তখন তিনি বলেছিলেন আপনি এ চাকরি ছেড়ে দিবেন কেন? আমি তো আপনাকে বেতন দিতে পারবো না। তখন বলেছিলাম, আমি বিনা বেতনে চাকরি করবো। আমাকে চাকরি ছাড়তে নিষেধ করে তিনি বলেছিলেন, আমরা সামরিক সরকারের চাপে আছি। আপনি চাকরি করেন। পরে যখন অবসরে যাই তখন মারা যান আব্দুস সামাদ আজাদ। তখন তার আসনে উপ-নির্বাচনে আমি অংশ নিতে চাইলে নেত্রী আমাকে বলেছিলেন, আমরা তো
নির্বাচনে যাবো না, আপনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারেন। পরে আমি সেই নির্বাচনে হেরে যাই।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমি ২০০৫ সালের ২২ মে জুলাই আওয়ামী লীগে যোগ দান করি। পরে ২০০৮ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে জয়ী হই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, পরিশ্রম করতে হবে সততার মধ্য দিয়ে। জনগণ আমাদের সুনজরে রেখেছে। আর তাই গত নির্বাচনে আমরা ব্যাপক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছি।

একই অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিছবাহকে।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খাইরুল হুদা চপলের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন মঞ্জু, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু ও খন্দকার মঞ্জুর আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।