ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘বিচার না হওয়ায় হত্যার রাজনীতি বন্ধ হয়নি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
‘বিচার না হওয়ায় হত্যার রাজনীতি বন্ধ হয়নি’

ঢাকা: ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলায় হত্যাকাণ্ডের এখনও বিচার হয়নি। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় এখনও হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়নি। এ ক্ষেত্রে অতীতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার করেতে হবে। 

রোববার (২০ জানুয়ারি) বোমা হামলার ১৮তম বার্ষিকী ও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে এক সমাবেশে সিপিবি নেতারা এসব কথা বলেন।  

সিপিবির ওই মহাসমাবেশে বোমা হামলায় পার্টির নেতা কমরেড হিমাংশু মণ্ডল, আব্দুল মজিদ, আবুল হাসেম, মোক্তার হোসেন ও বিপ্রদাস রায় নিহত হন।

তাদের স্মরণে পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  

এখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিপিবির সভাপতি মুজাহিদৃল ইসলাম সেলিম, উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধের জন্য যেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন তার বিচার হয় না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- সাক্ষীরা নিয়মিত সাক্ষ্য দেন না। কিন্তু সিপিবির সাক্ষীরা নিয়মিতই সাক্ষ্য দিয়ে আসছেন।  

‘এ ধরনের মিথ্যা তথ্য দেওয়া কর্মকর্তার দায়িত্বে মামলা থাকলে এই মামলার নিষ্পত্তি অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এই ধারা চলতে থাকলে রাজনীতিতে সুষ্ঠু ধারা ব্যাহত হবে, আর ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে। ’ 

সিপিবি নেতারা বলেন, মানুষ আজ অধিকার বঞ্চিত। দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ে কিন্তু শ্রমিকের শ্রমের মূল্য ও কৃষকের ধানের মূল্য বাড়ে না। দুর্নীতি, লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতাকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ও শোষণমুক্ত সমাজ সমাজতন্ত্র জন্য আওয়ামী ও বিএনপি ধারার বাইরে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীলদের বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।  

বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণ করে অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা জানায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণসংহতি আন্দোলন, গণমুক্তি ইউনিয়ন, সাম্যবাদী দল, বামঐক্য ফ্রন্ট, স্কপ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, কৃষক সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্ট টিইউসি, শ্রমজীবী ও শিল্পরক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, সিপিবি ঢাকা কমিটি, সিপিবি নারী সেল।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯ 
এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।