ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

তাড়াহুড়ো করে কর্মসূচি দেবে না ঐক্যফ্রন্ট: রব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
তাড়াহুড়ো করে কর্মসূচি দেবে না ঐক্যফ্রন্ট: রব বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আ স ম রব। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অস্থির হয়ে, তাড়াহুড়া করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো কর্মসূচি দেবে না বলে জানিয়েছেন জোটের অন্যতম নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। 

তিনি বলেছেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে যে কোনো কর্মসূচি দেওয়ার বদলে চিন্তা-ভাবনা করে স্তরে স্তরে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ভোট, গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার আদায়ের জন্য কর্মসূচি দেওয়া হবে।  

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে এক বৈঠক শেষে আ স ম রব এসব কথা বলেন।

 

এ সময় ঐক্যফ্রন্ট ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং মোস্তফা মহসীন মন্টুসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এ বৈঠকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।  

পড়ুন>>বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট, নেই বিএনপির কেউ

বিএনপির কেউ বৈঠকে আসেনি কেন? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আ স ম রব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ছিল, আছে এবং থাকবে। আজকের বৈঠকে একজন আসতেছেন। তিনি রাস্তায়। আমাদের প্রত্যেকেরই কাজ আছে। যার যার মামলা-টামলা করতে হবে। এজন্য ব্যস্ততার কারণে দেরি না করে চলে যাচ্ছি।

এ সময় রবের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ। সেজন্য তিনি আসতে পারেননি। ড. মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আসার কথা ছিলো। কিন্তু ঝামেলার কারণে তারাও আসতে পারেননি। ঐক্যফ্রন্ট যেখানে ছিলো, এখনও একই জায়গায় আছে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৮ জানুয়ারি আমাদের নাগরিক সংলাপের ছিলো। কিন্তু তা পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই যে নির্বাচনটা হয়েছে, আমরা মনে করি এতে জনগণ পরাজিত হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে জনপ্রতিরোধ করতে হবে।

জামায়াত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জামায়াত এখানে কোনো বড় ইস্যু নয়। আমাদের আন্দোলন ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে। জামায়াতের সঙ্গে আমরা ছিলাম না, এখনও নেই। জামায়াতের বিষয়টা আমাদের আলোচ্য বিষয়ে খুব একটা প্রাধান্য পাচ্ছে না।

এ সময় আ স ম রব বলেন, এটা একটা পুরানো প্রশ্ন। আমরা তিনজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে আমরা সরাসরি জীবন দিতে গিয়েছি। আমি, মন্টু ও মান্না। একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর যে প্রশ্নের সমাধান হয়ে গেছে, তারপর আবার নতুন করে সে প্রশ্ন ওঠে না। আমরা মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আ স ম রব, মন্টু ও মান্নারা যেতে পারে না।

ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে কবে যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্টু জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাবেন।

জামায়াতের প্রার্থীরা ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত জাতীয় সংলাপে থাকবে কি-না? জানতে চাইলে মান্না বলেন, না, থাকবে না।  

এ সময় পাশ থেকে মন্টু বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টে কোনো জামায়াতের প্রার্থী ছিলো না। এটা বারবার বলেছি, এখনও বলছি। ’

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ড. কামাল হোসেন। এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, শহিদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমএইচ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।