ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আমি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল- রংপুরে এরশাদ

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১০
আমি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল- রংপুরে এরশাদ

রংপুর: ‘আমি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের ন্যায় বিচারে আমি অনেক অন্যায় অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি।

অথচ একটি সংবাদ সংস্থা আমার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে যে আমার বিচার কেউ করতে পারবে না বলে আমি বলেছি। এ ধরনের কথা কোনও সংবাদ সংস্থাকে আমি বলিনি। ওই সংবাদ সংস্থা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। ’

সোমবার সন্ধ্যায় রংপুরে টাউন হলে দলীয় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এসব কথা বলেন।

রংপুর টাউন হলে আয়োজিত ওই ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক বেসরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী, এরশাদের অনুজ জিএম কাদের।

আলোচনা সভায় এরশাদ আরও বলেন, ‘আদালতই আমার রা কবচ। অতীতে অনেকে অন্যায় ও মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়েছিল। উচ্চ আদালত আমাকে ওইসব মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়ে রা করেছে। এবারও আমি সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী মামলার রায়ে মুক্তি পেয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘সামরিক আইন  কখনও সংবিধান সম্মত নয়। কিন্তু আমি সামরিক আইন জারি করিনি। তৎকালীন রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আমি মতা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি এবং সামরিক আইন জারি করেছি। মাননীয় হাইকোর্ট সামরিক আইন জারিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও জনস্বার্থে করা আমার সকল কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে। ’

এরশাদ বলেন, ‘আদালত আরও বলেছে, আমার বিচার করতে হলে সংসদে আইন পাস করতে হবে। প্রচলিত আইনে এর কোনও বিচার করা যায় না। তাই আমি হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছি। এই দেশে সর্বশেষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর। তাই এখন থেকে ১০ নভেম্বরকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে আমরা পালন করব। ’

তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমার উদ্ধৃতি দিয়ে যে সংবাদ সংস্থা মিথ্যাচার করে সংবাদ পরিবেশন করেছে আমি মনে করি তা সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি। আবার অনেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার সাাতের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নানা রকম কল্পিত সংবাদ পরিবেশন করেছে। ’

এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সাংবাদিক ও সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমি একাই সাাত করেছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আর আমি ছাড়া কেউ ছিল না। আর তার সাথে কি আলাপ হয়েছে এ বিষয়ে আমি কারও সাথে কোন কথা বলিনি। ’

এরশাদ তার শাসন আমলের নানা দিক উল্লেখ করে বলেন, ১৯৮৪ সালে আমার কোনও রাজনৈতিক দল ছিল না। আমি সেই সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য  সব রাজনৈতিক দলকে ডেকেছিলাম। কিন্তু কেউ আসেন নি। তাই বাধ্য হয়ে সামরিক শাসন জারি রাখতে হয়েছে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলীয় সাংসদ হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, সাংসদ আনিছুল ইসলাম মণ্ডল, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সাংসদ মশিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক সাংসদ মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক রংপুর পৌর মেয়র একেএম আব্দুর রউফ মানিক, উপজেলা চেয়ারম্যান, দলের জেলা কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা  ও যুবনেতা এসএম ইয়াসির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।