ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘তফসিলের পর ১০ হাজারের বেশি গ্রেফতার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
‘তফসিলের পর ১০ হাজারের বেশি গ্রেফতার’ নয়াপল্টন কার্যালয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ হাজার ৩২৯ জন নেতাকর্মীকে।

তিনি দাবি করেন, এ সময়ে গায়েবি ও মিথ্যা মামলার সংখ্যা ৮৪৪টি। ২ হাজার ৮৯৬টি হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৩ হাজার ২৫২ নেতাকর্মী আর মারা গেছেন ৯ জন।

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় বানোয়াট মামলা দায়ের হয়েছে ৩৮টি, গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার ১২৭ জন নেতাকর্মীকে, হত্যা করা হয়েছে ১ জনকে।

নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের প্রার্থী, বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান রিজভী।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, নির্বাচনে নদীসহ চর দখল করবে বলেই জাতীয়তাবাদী শক্তির নেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর শুরু করেছে অনেক দিন আগেই। সেজন্য বানোয়াট মামলা সাজিয়ে নির্বাচনের প্রায় বছর খানেক আগেই সাজা দিয়ে দেশনেত্রীকে বন্দি করা হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেছেন—পরাজয় বুঝতে পেরে নাশকতার পরিকল্পনায় বিএনপি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই—বিএনপি মহাসচিবের গাড়ি বহরে হামলা করেছে কে? গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে কে? ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রোমানা মাহমুদকে গুলি করেছে কে? হাবিবুর রহমান হাবিবকে হত্যা করতে তার শরীরে ছুরি ঢুকিয়েছে কে? মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাস, ড. মঈন খান, মওদুদ আহমদ, মেজর হাফিজ ও হাসিনা আহমেদের মিছিলে হামলা করেছে কে? শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর ওপর হামলা চালিয়েছে কে?

জেলায় জেলায় বেপরোয়া গ্রেফতার অভিযানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি বলছেন—বিএনপি নাশকতা করছে। নাশকতাকারীদের ট্রেনিং সেন্টার তো আওয়ামী লীগেই বিদ্যমান। সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য আওয়ামী লীগ ও তার সরকার। তারপরও আপনাদের সাধু বলতে হবে?

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।