ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্টের সন্ত্রাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্টের সন্ত্রাস ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্ট দেশজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। 

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুষ্টিয়া, নওগাঁ ও চাঁদপুর জেলায় নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।  

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্ট সন্ত্রাস করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চায়।

এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্য্য সহকারে কাজ করতে হবে। যেহেতু তারা সন্ত্রাস করে নেতা-কর্মীদের খুন করছে তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের নিয়ে রাখতে হবে।

‘আজকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করে যাচ্ছে, বোমা হামলা করে যাচ্ছে, নির্বাচনী প্রচার মিছিলের ওপর হামলা করছে, আমাদের নির্বাচনে অফিস পোড়াচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ৪৫ জন আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি-জামায়াত জোটের হাতে। ’

তিনি বলেন, যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে তারা সেখানেই হামলা করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে বিএনপি- জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে।  

‘এটাই তাদের চরিত্র, সেটাই তারা করে যাচ্ছে। এবার হামলায় আমাদের পাঁচজন নিহত ও বহু আহত হয়েছে যেটা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, তারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি-জামায়াত) জানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী মানি লন্ডারিং দুর্নীতি অগ্নিসংযোগকারীদের মানুষ ভোট দেবে না। আর সেই কারণে তারা তাদের পেশী শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে। অতীতে তারা যেভাবে মানুষকে আক্রমণ করেছে ঠিক সেভাবে এখনও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।

দেশের মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো, নির্বাচন জনগণের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সুযোগ। আপনারা যারা ভোটার সকলে ভোট দেবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

‘আমরা এখানে দেখেছি- ঐক্যফ্রন্ট তাদের আচার-আচরণ থেকে কেউ-ই রেহাই পাচ্ছে না। ’

ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি নির্বাচন কমিশনে গিয়েও পুলিশকে গালিগালাজ করে এসেছেন। তার যে অকথ্য ভাষা- তিনি নাকি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন। তার মুখ থেকে অকথ্য ভাষা নোংরা গালি এটা নিশ্চয়ই কেউ আশা করে না। এ রকমই তার চরিত্র।  

‘কোর্টে বসে আমার অ্যাটর্নি জেনারেলকে নোংরা গালি দিয়েছে। এখন আবার পুলিশ বাহিনীতে নোংরা গালি দিয়ে বসেছেন। সাংবাদিকদের খামোশ বলে দেখে নেব হুমকি দিয়েছেন। এই আচরণ থেকে বোঝা যায়- তাদের নেতা কর্মীদের আচরণটা কতটা জঘন্য। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।