ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

পুলিশ-ক্ষমতাসীনদের আচরণ ‘নজিরবিহীন’ বলছেন কামাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
পুলিশ-ক্ষমতাসীনদের আচরণ ‘নজিরবিহীন’ বলছেন কামাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন/ছবি/ শাকিল

ঢাকা: পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের আচরণ ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. কামাল বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো ভোট হয়নি।

এটা একটা আয়োজন ছিল। তারা বলেছিলো, দ্রুত নির্বাচন দেবে, কিন্তু সেই দ্রুত সময় আর আসেনি। প্রহসন বন্ধ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন, তা না হলে দেশে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হবে’।

তিনি বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে দাবি করবেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। দয়া করে মিথ্যাচারের এই খেলা বন্ধ করুন। এটা স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থি। সরকারকে বলবো, এটা সম্পূর্ণ ভাওতাবাজি। যে কায়দায় করা হচ্ছে, সব স্বৈরাচারী শাসনকে হার মানিয়েছে’।
 
‘এটা বন্ধ করুন, জোর করে নির্বাচিত হবেন, দাবি করবেন বিজয়ী হয়েছেন, এটা অর্থহীন। দেশের মানুষ চায় অবাধ নির্বাচন।  এদেশের মানুষ অনেক জীবনের বিনিময়ে ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে অতীতে। কিন্তু ৪৭ বছর পরেও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে, এটা লজ্জাজনক’, বলেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক।  

ড. কামাল বলেন, পাঁচ বছর পর নির্বাচন করছেন, এট প্রহসনে পরিণত করবেন না। আগামীকাল থেকে খবর নেবো, এই আচরণ বন্ধ হয়েছে কিনা। সংবিধানে লেখা আছে, পুলিশ কোন দলীয় বাহিনী হবে না। পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করবো, আপনারা পুলিশ ভাইয়েরা যা করছেন, ১৬ আনা নিরপেক্ষ পরিপন্থি। তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। এটা করলে জনগণের মালিকানা থাকবে না, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণ যাকে ইচ্ছে ভোট দেবে। শুধু এটা নিশ্চিত করুন, আমরা বলছি না, আমাদের ভোট দিতে হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছে ভোট দিবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৬ জন ধানের শীষের প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেসব আসনে প্রার্থিতা বাতিল করা, সেসব আসনে পুনঃতফসিলের দাবি জানাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট।  

ইন্টারনেটের গতি কমানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে অভিযোগ করে জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়াসহ নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। থানার ওসিরা নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাইছেন।  

ঐক্যফ্রন্ট নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।  ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকার প্রতিটি আসনে একই সময়ে জনসভা করা হবে। এছাড়াও ২৭ ডিসেম্বর বেলা ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে ঐক্যফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির হোসেন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১,২০১৮
টিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।