ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে এরইমধ্যে ২০৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে বাদ পড়েছেন দলটির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা, আলোচিত সাবেক মন্ত্রী, এমনকি বেশ কয়েকজন সাবেক এমপিও।

এদের মধ্যে রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও তার ছেলে মনজুরুল করিম রনী, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, সাবেক এমপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী, সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু প্রমুখ।

এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেক নেতাকর্মী।

এ সময় কেউ কেউ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গালিগালাজ করেন। অনেক বিক্ষুব্ধ কর্মী কার্যালয়ের ফটকে ইট-পাটকেল পর্যন্ত ছোড়েন।   

দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী সাহিদা রফিককেও কুমিল্লা-৩ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

সাবেক মহিলা এমপি রাশেদা বেগম হীরা (চাঁদপুর-১), নিলুফার চৌধুরী মনি (জামালপুর সদর) আসনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০০৮ সালে তারা সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি ছিলেন।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বামপন্থি নেতা আতাউর রহমান ঢালী ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে।  

ঢাকা-২০ আসনে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এবার মনোনয়ন পাননি। তার জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন।

নেত্রকোনা সদর আসনে আশরাফ উদ্দিন খান মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় নেই। তার স্থলে জায়গা পেয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন।

প্রয়াত মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খান রীতা মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। যদিও তার আসনটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

খুলনা- ৪ আসনে ২০০৮ সালে দলের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ এবার মনোনয়ন পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল।  যিনি ২০০৮ সালেনির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।

মনোনয়ন পাননি ২০০৮ সালের সংসদে নির্বাচিত মেহেরপুর-২ আসনের আমজাদ হোসেন।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবার দল থেকে মনোনয়ন চাননি। তবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির তার বাবার আসন পঞ্চগড়-১ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

নির্বাচন করছেন না দলের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল।   

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।